গরমে ঘুরতে যেতে চাইছেন? সুস্থ থাকতে যা করবেন
Published: 5th, April 2025 GMT
প্রকৃতিতে বাড়ছে তাপমাত্রা। অনেকেই এ সময় দু-একদিনের ছুটিতে আশপাশে ঘুরতে যান। তবে গরমের সময় ঘুরতে গেলে অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন। আবার শরীর খারাপও হতে পারে। তখন ঘোরার মজাই পুরো নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে গ্রীষ্মকালে কোথাও ঘুরতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নজর দেয়া জরুরি। যেমন-
হাইড্রেট থাকুন : গরমের দিনে ঘুরতে গেলে নিজেকে সবসময় হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ পানির অভাব হলে শরীর খারাপ লাগবে, বমি হতে পারে। বাইরে বের হলে প্রতি আধঘন্টা পর পর পানি পান করুন। সঙ্গে অবশ্যই পানির বোতল রাখবেন। ডাবের পানি, লেবু পানির মতো পানীয়ও রাখতে পারেন। এতে শরীর হাইড্রেট থাকবে। সেই সঙ্গে শরীরে শক্তিও বজায় থাকবে।
তৈলাক্ত খাবার খাবেন না : গরমে কোথাও ঘুরতে গেলে তৈলাক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। এর পরিবর্তে ফল, সালাদ কিংবা বাদামের মতো হালকা খাবার খান। তাহলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে, শরীরও সুস্থ থাকবে।
হালকা পোশাক পরুন : গরমের সময় ঘুরতে গেলে হালকা, ঢিলেঢেলা সুতির পোশাক পরুন। তাহলে গরম একটু হলেও কম লাগবে। রোদের তাপে ত্বক যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এই সময় অবশ্যই স্কার্ফ, মাথায় টুপি কিংবা সানগ্লাস পরুন।
বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না: এই গরমে ঘুরতে গেলেও বেশিক্ষণ রোদে থাকা ঠিক নয়। সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটের মধ্যে বেরোনো এড়িয়ে চলুন। আর যদিও বেরোন, তাহলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। তাহলে হিট স্ট্রোক, মাথা ঘোরা কিংবা মাথাব্যথার মতো ঝুঁকি কমবে।
চা,কফি এড়িয়ে চলুন : গরমকালে ঘুরতে গেলে বেশি পরিমাণে চা-কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে আপনার ঘনঘন প্রস্রাব পেতে পারে। আবার পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে।
ঠান্ডা জায়গায় ঘুরে আসুন: গরমকালে জনাকীর্ণ স্থানে ঘুরতে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। শীতল স্থানে ঘুরতে যান। যদি আপনি এই সময়ে ঘুরতে যান, তাহলে অবশ্যই সেখানে গিয়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল, হাত, পা, ধোয়ার চেষ্টা করবেন। মাঝে মধ্যে ঘাড়ে, মুখে, গলায় ঠান্ডা পানি দিন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গরম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’