পদ্মার তিন কাতলা ও এক পাঙাশ সোয়া লাখ টাকায় বিক্রি
Published: 5th, April 2025 GMT
পদ্মা নদীর তিনটি কাতলা ও একটি পাঙাশ মাছ প্রায় সোয়া লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে মাছগুলো বিক্রি হয়।
এর মধ্যে বড় কাতলাটির ওজন ছিল প্রায় ২৪ কেজি। বাকি দুটি কাতলার ওজন প্রায় ২০ কেজি ও সাড়ে ১৪ কেজি। পাঙাশটির ওজন ছিল সাড়ে ১৪ কেজি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছ চারটি কিনেন। এর মধ্যে তিনি বড় কাতলাটি বিক্রি করেছেন। বাকি তিনটি মাছ তিনি বিক্রির অপেক্ষায় আছেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে পদ্মা নদীর কুশাহাটা অঞ্চলে জাল ফেলেন গোয়ালন্দের দেবগ্রাম অঞ্চলের জেলে আবদুল মাজেদ। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি কাতলা। কিছুক্ষণ পর জাল ফেলে আরেকটি বড় কাতলা মাছ পান। কাতলা দুটি বিক্রির জন্য নিয়ে যান দৌলতদিয়া বাজারে। সেখান থেকে মাছগুলো কিনেন মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।
শাহজাহান শেখ বলেন, বড় কাতলাটি দেড় হাজার টাকা কেজি দরে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে তিনি কিনে নেন। পরে ঢাকায় পরিচিত একজনের কাছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা লাভে ৩৮ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন। আরেকটি কাতলা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।
এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ছকু মোল্লার আড়ত থেকে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের আরেকটি কাতলা ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার ৫৭৫ টাকায় কেনেন। ইউনুছের আড়ত থেকে নিলামে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের পাঙাশ ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার ২০০ টাকায় কিনেন। সব মিলে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মাছ কেনেন।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, সাধারণত এই মৌসুমে রুই–কাতলা ডিম ছাড়ে। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় যেখানে স্রোত পায়, সেখানে বড় মাছের বিচরণ ঘটে। আর এ সময় জেলেদের ফাঁদে ধরা পড়ে এ ধরনের মাছ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৪ ক জ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।