শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে গতকাল হয়ে গেল সাফের বিশেষ সাধারণ সভা। সেখানে এ অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সবাই। বিশেষ সাধারণ সভার উদ্দেশ্য ছিল মূলত গঠনতন্ত্র সংশোধন।

সর্বসম্মতিক্রমে সে সংশোধনী আনা হয়েছে। এখন থেকে সাফের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বয়সসীমা থাকছে না। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে সাফের নির্বাচনের সময় বয়স ৭০ বছরের নিচে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। বয়সের সীমা উঠে যাওয়ায় সাফের বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিনের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে বাধা দূর হয়ে গেল। অবশ্য সালাউদ্দিনকে সাফের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মনোনয়ন দেবে কিনা সেটি বড় প্রশ্ন।

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে সাফে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিল সদস্য রাষ্ট্রগুলো। সে লক্ষ্যে গঠনতন্ত্রের আর্টিক্যাল ৩১.

৫ অপসারণ করে বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়। এ সংশোধনের পক্ষে আগে থেকে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছিল। 

গতকালের সভায় সংশোধন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। এ সংশোধনের ফলে সাফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করা সালাউদ্দিনের বয়স আগামী বছর হতে যাওয়া নির্বাচনের সময় হবে ৭২। আগের গঠনতন্ত্রে তিনি অযোগ্য ছিলেন। ২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। এর পরের বছর সাফের সভাপতি হন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে টানা চার বার সাফের সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।

সাফের গঠনতন্ত্রের ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় রয়েছে, নির্বাহী কমিটির যেকোনো পদ সভাপতিসহ টানা তিনবার বা সব মিলিয়ে তিন বার বা ১২ বছরের অধিক সময়কাল কেউ অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। এ সংশোধনী আনা হয় ২০২২ সালে। ফলে সালাউদ্দিনের ২০১৮-২০২২ সালের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এ আওতায় পড়েনি। ফলে ২০২৬ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচন করতে পারবেন তিনি। তখন নির্বাচিত হলে এ আইনের আলোকে সেটি হবে তাঁর শেষ মেয়াদ।

অবশ্য সুযোগ সৃষ্টি হলেও সালাউদ্দিনের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা নির্ভর করছে বাফুফের বর্তমান নেতৃবৃন্দের ওপর। কারণ সাফের নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের মনোনয়ন লাগে। বাফুফের মনোনয়ন না পেলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সালাউদ্দিনকে বাফুফের বর্তমান কমিটি মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। অবশ্য বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সালাউদ্দিনের বেশ সখ্য রয়েছে। সেই সম্পর্কের সুবাদে মনোনয়ন পেয়েও যেতে পারেন।

গতকালের বিশেষ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন এএফসি সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা। তিনি এ অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য স্কুল ফুটবলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে একমত হয়েছেন। এ বিশেষ সভায় আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে হতে যাওয়া সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শ্রীলঙ্কা আগ্রহ প্রকাশ করলেও সাফের মার্কেটিং পার্টনার এখনও সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ফ চ য ম প য়নশ প ক জ স ল উদ দ ন গঠনতন ত র প রব ন ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিট।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের অ্যাডহক কমিটির বিধান নেই। তবুও ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ অ্যাডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোনো ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে অ্যাডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। 

এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করবো।” 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি