সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধন, সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেবে বাফুফে?
Published: 5th, April 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে গতকাল হয়ে গেল সাফের বিশেষ সাধারণ সভা। সেখানে এ অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সবাই। বিশেষ সাধারণ সভার উদ্দেশ্য ছিল মূলত গঠনতন্ত্র সংশোধন।
সর্বসম্মতিক্রমে সে সংশোধনী আনা হয়েছে। এখন থেকে সাফের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বয়সসীমা থাকছে না। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে সাফের নির্বাচনের সময় বয়স ৭০ বছরের নিচে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। বয়সের সীমা উঠে যাওয়ায় সাফের বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিনের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে বাধা দূর হয়ে গেল। অবশ্য সালাউদ্দিনকে সাফের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মনোনয়ন দেবে কিনা সেটি বড় প্রশ্ন।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে সাফে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিল সদস্য রাষ্ট্রগুলো। সে লক্ষ্যে গঠনতন্ত্রের আর্টিক্যাল ৩১.
গতকালের সভায় সংশোধন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। এ সংশোধনের ফলে সাফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করা সালাউদ্দিনের বয়স আগামী বছর হতে যাওয়া নির্বাচনের সময় হবে ৭২। আগের গঠনতন্ত্রে তিনি অযোগ্য ছিলেন। ২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। এর পরের বছর সাফের সভাপতি হন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে টানা চার বার সাফের সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি।
সাফের গঠনতন্ত্রের ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় রয়েছে, নির্বাহী কমিটির যেকোনো পদ সভাপতিসহ টানা তিনবার বা সব মিলিয়ে তিন বার বা ১২ বছরের অধিক সময়কাল কেউ অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। এ সংশোধনী আনা হয় ২০২২ সালে। ফলে সালাউদ্দিনের ২০১৮-২০২২ সালের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এ আওতায় পড়েনি। ফলে ২০২৬ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচন করতে পারবেন তিনি। তখন নির্বাচিত হলে এ আইনের আলোকে সেটি হবে তাঁর শেষ মেয়াদ।
অবশ্য সুযোগ সৃষ্টি হলেও সালাউদ্দিনের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা নির্ভর করছে বাফুফের বর্তমান নেতৃবৃন্দের ওপর। কারণ সাফের নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের মনোনয়ন লাগে। বাফুফের মনোনয়ন না পেলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সালাউদ্দিনকে বাফুফের বর্তমান কমিটি মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। অবশ্য বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সালাউদ্দিনের বেশ সখ্য রয়েছে। সেই সম্পর্কের সুবাদে মনোনয়ন পেয়েও যেতে পারেন।
গতকালের বিশেষ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন এএফসি সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা। তিনি এ অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য স্কুল ফুটবলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে একমত হয়েছেন। এ বিশেষ সভায় আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে হতে যাওয়া সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শ্রীলঙ্কা আগ্রহ প্রকাশ করলেও সাফের মার্কেটিং পার্টনার এখনও সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ফ চ য ম প য়নশ প ক জ স ল উদ দ ন গঠনতন ত র প রব ন ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচন সামনে রেখে ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাদে অন্য কোনো নির্বাচনে নিউইয়র্কে এটাই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ার ঘটনা। আগামীকাল ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক নগরে মেয়র পদে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার ছিল আগাম ভোট দেওয়ার শেষ দিন। এদিন প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। নগরের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, আগাম ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার ঘটনা। তা ছাড়া এদিন ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি ছিল। এর মধ্য দিয়ে আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের গড় বয়সও কমে এসেছে। গড় বয়স ৫০ বছরে নেমে এসেছে।
আগের সপ্তাহের প্রথম দিকে কম বয়সী ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। ওই সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮০ হাজার নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছিলেন। তবে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত এই সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৩৫ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গতকাল রোববারই এ বয়সী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুনমামদানিকে বারাক ওবামার ফোন, করলেন নির্বাচনী প্রচারের প্রশংসা০২ নভেম্বর ২০২৫নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।নিউইয়র্কে সর্বপ্রথম মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় ২০২১ সালে। ওই নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়নি। ওই নির্বাচনে এরিক অ্যাডামস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্লিওয়াকে দ্বিগুণের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন।
অবশ্য চলতি বছর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটকে ছাড়াতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের বয়স তুলনামূলক কম। এটা অবাক করা বিষয়। কারণ, সাধারণত যারা আগাম ভোট দেন তাঁদের গড় বয়স মোট নিবন্ধিতদের গড় বয়সের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।
চলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের গড় বয়স ছিল ৫১ বছর। তবে এবার মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটারদের গড় বয়স আরও কমে ৫০ বছরে নেমেছে।