ঈদের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
Published: 5th, April 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ৮ দিন ছুটি শেষে বেনাপোল স্থলবন্দরে আজ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। এদিন দুপুর ১২টার সময় ভারত থেকে ২৪ ট্রাক পণ্য আমদানি ও বাংলাদেশি ১৩ ট্রাকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশের সব স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি আজ বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে অনেক বেশি ফল ও পচনশীল পণ্য আমদানি হবে বলে ধারণা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। আজ ৫ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখায় কার্পাস ও মেনিফেস্ট ইস্যুর কাজ শুরু হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা কর্মকারী এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফরা অফিসে যোগদান করেছেন।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে ছুটি থাকায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা ৪৫০টি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং এ দাঁড়িয়ে আছে। বনগাঁসহ আশপাশের বিভিন্ন পার্কিংয়ে ও অনেক ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাক ড্যামারেজ না দেওয়ার শর্তে কিছু ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী বনগাঁ ও আশপাশের এলাকায় মাল গুদামে আনলোড করেছে, তারা এসব মাল লোড দেওয়া শুরু করেছে। আগামীকাল রোববার থেকে রপ্তানির ব্যাপক চাপ থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব জানান, টানা ৮ দিন ঈদের ছুটি শেষে আজ শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে ৫০টি পণ্য বোঝাই বাংলাদেশি ট্রাক এবং বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে ৪৫০টি পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। ঈদের ছুটির মধ্যে বেনাপোল বন্দরে আমদানি করা পণ্য সুরক্ষিত আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বনশ্রীসংলগ্ন মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।
এর আগে ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলামে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশুর হাটের জন্য ‘মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খাল পাড়ের খালি জায়গা’ ইজারার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলামের বৈধতা নিয়ে বনশ্রীর স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহবউদ্দিন শিকদার রিটটি করেন।
আদালতের রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী লিটন আহমেদ। শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।
হাইকোর্ট মেরাদিয়া হাট বসানোর ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী জহিরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত আবাসিক এলাকায় এ ধরনের হাট বসতে পারে না। এমনকি সেখানে হাট বসানোর মতো জায়গাও নেই, যে কারণে রিটটি করা হয়।’
রুলে ২১ এপ্রিল আহ্বান করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলাম (মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গা) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তাবিত হাটের তালিকায় উল্লেখিত ৯ নম্বর কলামটি (মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গা) সরাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।