ভারতের লোকসভায় বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাশ করার সিদ্ধান্তে নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। মুসলমানবিদ্বেষী ও বিভক্তি-বিভাজন সৃষ্টিকারী এসব অশুভ তৎপরতা থেকে সরে আসতে বিজেপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি। 

শনিবার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ জানান। 

তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের এই মুসলিমবিদ্বেষী তৎপরতায় ভারতের মুসলমান জনগোষ্ঠী আরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। ভারতের মুসলমান জনগোষ্ঠীকে আরও ক্ষমতাহীন ও বিপদগ্রস্ত করতেই যে লোকসভায় এই বিল পাশ করানো হয়েছে তা স্পষ্ট। ভারতের বিরোধী দলগুলো ও মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রবল বিরোধিতার মুখে পাশ হওয়া এই বিলের মাধ্যমে জমি-জিরাত সংক্রান্ত মুসলমানদের শত শত বছর ধরে চলে আসা স্থাবর সম্পত্তির ওপর গুরুতর আঘাত। 

তিনি বলেন, এই বিল একদিকে ভারতের সংবিধান বিরোধী, আর অন্যদিকে মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মাচরণের পরিপন্থী। এই বিল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় বা ফেডারেল কাঠামোর ওপরও বড় আঘাত। এই বিলের মধ্য দিয়ে রাজ্যের অধিকার খর্ব করা হলো। এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমেরাও সদস্য হতে পারবেন, এমনকি তারা বোর্ডের প্রধান নির্বাহীও হতে পারবেন। এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহারের ভিত্তিতে সত্ত্বাধিকারী হওয়ার বিধানও বাস্তবে বাতিল হয়ে যাবে।

সাইফুল হক বলেন, ওয়াকফ বিল হচ্ছে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকার কর্তৃক ভারতের মুসলমানদেরকে নিঃস্ব করার আগ্রাসী তৎপরতারই অংশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই ব ল র ম

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেয়র পদ নিয়ে ইশরাকের মামলায় ইসির ভূমিকায় এনসিপির উদ্বেগ
  • পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় সন্তুষ্ট ট্রাম্প, চান স্থায়ী চুক্তি
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে মার্কিন তৎপরতা