পবিত্র ঈদে লম্বা ছুটিতে থাকা চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে নগরীর প্ল্যানেট পার্ক, বেলস পার্ক, এডামস্ পার্ক, ত্রিশ গোডাইন বদ্ধ ভূমি, বান্দরোড ও সিঅ্যান্ডবি রোডের পার্কগুলোয় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের ভিড় লেগে আছে। 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত কীর্তনখোলা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, চাঁদমারীর বটতলা, শহরতলীর তালতলী ব্রিজ, চরবাড়িয়ার বেড়িবাঁধ এলাকাকে ঘিরে প্রাণ চাঞ্চল্য আছে। একই অবস্থা নগরীর আমতলার মোড়স্থ স্বাধীনতা পার্ক, কীত্তনখোলা সেতু, খয়েরাবাদ সেতু, কালিজিরা ব্রিজ বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দুর্গা সাগর, উজিরপুরের গুটিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ, আগৈলঝাড়ার পয়সার হাট ব্রিজ ও উজিরপুরের সাতলা ব্রীজ এলাকায়ও। 

ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে সাধারণ মানুষ এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় ভিড় করছেন। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে ও দুপুরে নগরীর প্লানেট পার্কে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য নারী পুরুষ ও বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণী ও শিশুরা জড়ো হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের অভিযোগ, এখানে ১০-১২ বছর আগে এখানে হাতি, ঘোড়া, ভাল্লুক, বানরসহ বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি থাকলেও এখন কিছুই নেই, তাই তারা এখানে এসে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে পালিয়ে যাওয়া নীলগাইটি উদ্ধার হয়নি

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ভাঙচুর, পাখি লুট

ফারুক হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, বরিশাল একটি বিভাগীয় নগরী হওয়া সত্ত্বেও এখানের শিশুদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে সরকারি উদ্যোগে মিনি চিড়িয়াখানা স্থাপনের দাবি জানান তিনি। শুধু ফারুক হোসেন নয়, এখানে ঘুরতে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থী একই দাবী করেছেন।

নগরীর ত্রিশ গোডাইন এলাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে সজিব ভূইয়া জানান, কীত্তন খোলা নদীর তীরে এত মানুষের উপস্থিতি আগে ভাবতেও পারেননি। বিকেলে নদীর তীরে হালকা বাতাস ও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মন ভালো হয়ে যায়। তাই তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে এসেছেন। 

ভ্রমণ পিয়াসুরা জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে এসেছেন। ঈদের প্রথম দিন দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি অল্প পরিসরে ঘোরাঘুরি করে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি, শহরতলীসহ গ্রামীণ জনপদগুলোর দর্শনীয় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। 

ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসা মানুষের জন্য শহর ও উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা। 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী বলেন, ‘‘বরিশাল নগরবাসীর জন্য উন্নত ও আধুনিক মানের বিনোদন কেন্দ্র দরকার। সিটি করপোরেশন এলাকায় তারা জায়গা খুজছেন। উপযুক্ত জমি পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র বর শ ল নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ