বাংলাদেশি পণ্যে আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির ফলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যে আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনায় জরুরি এ বৈঠক ডাকেন  প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস।

আরো পড়ুন:

টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক: জরুরি পর্যালোচনা সভায় বসছে সরকার

বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “নতুন শুল্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলবেন। আমদানি বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে। মার্কিন শুল্ক বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”

গত বুধবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার আমেরিকা। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ এর ফলে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কমে যেতে পারে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার যোগাযোগ রেখে আসছে।

সেখ বশির বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান নিজেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। আমাদের উদ্দেশ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। আমরা বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চাই। এর জন্য করণীয় কি হতে পারে উভয় পক্ষেরই, এটি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা আমদানি নীতি সংশোধন করেছি। এর ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।”

এদিকে নতুন শুল্ক আরোপে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নতুন শুষ্ক নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আমরা এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।”

খলিলুর রহমান বলেন, “আমি গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকায় যাই, প্রথমেই স্টেট ডিপার্টমেন্টে আমাদের বিষয়গুলো উত্থাপন করি। কয়েকটি ডিপার্টমেনটের সঙ্গে কথা হয়। শুরু থেকেই আমরা এনগেজড আছি। ভয়ের কিছু নেই। আমরা আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় আলোচনায় আছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া তাদের পাঠাব।”

হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, “আমার সঙ্গে কয়েক দিন আগে আমেরিকার ডেপুটি ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারের কথা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি। তারা আমাদের বিষয় জানেন। প্রধান উপদেষ্টা আগেই বিষয়টি অনুধাবন করেছেন এবং সময় মত ব্যবস্থা নিয়েছেন। ধারণা করছি, যখন রিবেটের অনুরোধ করব, তখন ইতিবাচক সাড়া পাব।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব ণ জ য উপদ ষ ট আম র ক র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে ছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর ইডেন কলেজের আবাসিক হোস্টেলের পুকুরে ডুবে সানজিদা খাতুন রুপা (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সানজিদা অগ্রণী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কমার্স বিভাগে পড়তেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

ইডেন কলেজের খোদেজা খাতুন ছাত্রী নিবাসের অফিস সহকারী রিফাত আরা বলেন, কলেজে মোহনা নামের এক শিক্ষার্থীর কাছে সানজিদা এসেছিলেন। পরে পুকুরপাড়ে গিয়ে পানিতে পা ভেজাতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে মোহনাও পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় মোহনাকে জীবিত এবং পরে সানজিদাকে টেনে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়।

সানজিদার বড় ভাই তানভীর ইসলাম বলেন, সকালবেলা বাসা থেকে সে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে যাবে বলে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই, ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেলে এসে মৃত অবস্থায় পাই।

সানজিদার বাড়ি পুরান ঢাকার চকবাজারের ১২ নম্বর চম্পাকলীতে। তাঁর বাবার নাম সাইজ উদ্দিন। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সানজিদা ছিলেন ছোট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ