১৫ বলে ফিফটি করে যত রেকর্ড পারভেজ হোসেনের
Published: 6th, April 2025 GMT
৮৯ রানের লক্ষ্য। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সেই লক্ষ্যটা তাড়া করতে তর সইল না আবাহনীর ওপেনার পারভেজ হোসেনের। ইমন নামেই বেশি পরিচিত ওপেনার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৬.৪ ওভারেই শাইনপুকুরের বিপক্ষে আবাহনীকে ১০ উইকেটে জয় এনে দিলেন। নবম ম্যাচে আবাহনী যখন অষ্টম জয়টি পেল ২৩ বলে ৬১ রানে অপরাজিত পারভেজ। জাতীয় দলের ওপেনার একটি রেকর্ড নিয়েও ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
পারভেজ ১৫ বলেই ফিফটি ছুঁয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মতো বাংলাদেশেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি এটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে যা যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম ফিফটিও।
লিস্ট ‘এ’তে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আগের দ্রুততম ফিফটি ছিল ১৮ বলে। ২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি।
পাঁচ বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মিরপুরেই ১৮ বলে ফিফটি করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রেকর্ড গড়েন ফরহাদ রেজা। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে ২০ বলে ৫৬ রান করা ফরহাদ ভেঙেছিলেন নাজমুল হোসেন মিলনের রেকর্ড। ২০০৭ সালে জাতীয় লিগ ওয়ানডেতে খুলনার বিপক্ষে ১৯ বলে ফিফটি করেন ঢাকা বিভাগের নাজমুল। ম্যাচটি হয়েছিল ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটির বিশ্ব রেকর্ডটা কৌশল্য বীরারত্নের। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৫টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা বীরারত্নে ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়ার লিমিটেড ওভার টুর্নামেন্টে কুরুনেগালার বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেন রাগামা সিসির হয়ে খেলা বীরারত্নে। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার অ্যাডাম হোলিওকের গড়া ১৫ বলের ফিফটির রেকর্ড ভাঙেন বীরারত্নে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।