বৃহস্পতিবার সম্পদমূল্য হ্রাসের পর কোন ধনীর সম্পদ কত বাড়ল
Published: 6th, April 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাণে রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হতে শুরু করেছে বাজার। এই ধাক্কায় গত তিন দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজার, মুদ্রা, তেল ও সোনার বাজার পড়ে গেছে। শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদমূল্য অনেকটা কমে গেছে।
এর মধ্যেও কিছু ধনীর সম্পদমূল্য বেড়েছে। তবে দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর কারও সম্পদমূল্য আজও বাড়েনি। এর মধ্যে ছয় জনের সম্পদ মূল্য অপরিবর্তিত আছে আর বাকি চার জনের কমেছে। এই ১০ জনের মধ্যে আছেন ইলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ, জেফ বেজোস, ওয়ারেন বাফেট প্রমুখ।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় গতকাল বিকেল পাঁটটা থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্য বেড়েছে ইতালির ধনী সান্দ্রো ভেরনোসি অ্যান্ড ফ্যামিলির। গতকাল তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ১১০ মিলিয়ন বা ১১ কোটি ডলার। সার্বিকভাবে তাঁর সম্পদমূল্য ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১৭০ কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের ধনীদের তালিকায় ১ হাজার ৯৯৯। অর্থাৎ বেশ নিচের দিকেই তাঁর অবস্থান। ইতালিতে তাঁর হোসিয়ারি ও ল্যানজারি বিক্রির খুচরা বিক্রয় চেইন আছে, যার নাম ওনিভার্স। বিশ্বের ৫৭টি দেশে এই চেইনের ৫ হাজার ৬০০টি দোকান আছে।
সম্পদমূল্য বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছেন অ্যালিস শোয়ার্তজ। ওষুধের প্রয়োজনীয় উপকরণ বিক্রি করেন তিনি। গতকাল তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬২ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। তাঁর মোট সম্পদমূল্য ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১৭০ কোটি ডলার। সামগ্রিকভাবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের ধনীদের তালিকায় তাঁর অবস্থান ২০১১তম।
সম্পদমূল্য বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে আছেন আলেসান্দ্রো বেইলার্স গল অ্যান্ড ফ্যামিলি। গতকাল তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৪৮ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আলেসান্দ্রোর সঙ্গে তাঁর পাঁচ ভাইও এই সম্পদের মালিক। তাঁরা মূলত পিতার পারিবারিক ব্যবসার উত্তরাধিকারী হয়েছেন। আলেসান্দ্রো গ্রুপ ব্যালের প্রেসিডেন্ট। এই গোষ্ঠী বিমা, পেনশন তহবিলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে থাকে।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমির সহপ্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী লেই জুন আছেন তালিকায় চতুর্থ স্থানে। অর্থাৎ গতকাল সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে তিনি ছিলেন চতুর্থ। গতকাল তাঁর সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩৪ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। তাঁর মোট সম্পদমূল্য ৩৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। সম্পদমূল্যের দিক থেকে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় তাঁর অবস্থান সামগ্রিকভাবে ৩৯তম।
প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা, যৌগ উপকরণ প্রস্তুতকারক থিও রুসিসের সম্পদমূল্য বেড়েছে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ২৯০ কোটি ডলার। সম্পদমূল্য বৃদ্ধির নিরিখে তাঁর অবস্থান পঞ্চম। সামগ্রিকভাবে তাঁর সম্পদমূল্য ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ২৯০ কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় সামগ্রিকভাবে তাঁর অবস্থান ১ হাজার ২৫৪তম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষে শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ২ এপ্রিল এই শুল্ক আরোপের পর বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী গত বৃহস্পতিবার মোট ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের ১৩ বছরের ইতিহাসে এটি এক দিনে চতুর্থ বৃহৎ পতন। কোভিড-১৯ মহামারির পর এত বড় পতন আর হয়নি। ব্লুমবার্গের সম্পদ সূচক অনুসারে, ব্লুমবার্গ যাঁদের সম্পদের হিসাব রাখে, তাঁদের অর্ধেকের বেশি ব্যবসায়ীর এই পরিণতি হয়েছে সেদিন। গড়ে তাঁদের সম্পদমূল্য ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
ধনীদের সম্পদমূল্য প্রতি মুহূর্তেই বাড়ে বা কমে। মূলত শেয়ারের দামের ওপর নির্ভর করেই প্রতিদিনই তাঁদের সম্পদমূল্যে পরিবর্তন আসে। ফলে বৃহস্পতিবার সম্পদমূল্য হ্রাসের পর আজ আবারও সম্পদমূল্য বেড়েছে এই ধনীদের।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অবস থ ন গতক ল ত দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।