‘সব কাজ সফল হবে না, তারপরও আমরা ভালো কাজে সবাই একসঙ্গে থাকবো। সমাজের উন্নয়ন ও তরুণদের কল্যাণে কাজ করতে গেলে নানা চ্যালেঞ্জ আসবেই, তবে সাহস, নিষ্ঠা ও সহমর্মিতার সঙ্গে এগিয়ে গেলে ভালো কাজ সফল হবেই। তরুণদের মাঝে যেই অদম্য সম্ভাবনা রয়েছে, তা কাজে লাগালে বাংলাদেশ একদিন নেতৃত্বের দিক থেকে বিশ্বের বুকে অনন্য অবস্থানে পৌঁছাবে।’ তরুণদের নেতৃত্বে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করে এসব কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমেদ খান। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি রেস্টুরেস্টে ‘ঈদ পুনর্মিলনী ও ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট- ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠান আয়োজন করে ক্যারিয়ার ডিজাইনিং ফাউন্ডেশন (সিডিএফ) ঢাকা। সহযোগিতায় ছিল হায়াত হোল্ডিংস (প্রা.) লিমিটেড, ড্রিমার্স কনসালটেশন এন্ড রিসার্চ এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ফোরাম-লোহাগাড়া। আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় সামিটে সভাপতিত্ব করেন ক্যারিয়ার ডিজাইনিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে দেশের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্ব তৈরিই আমাদের লক্ষ্য। ঈদ পুনর্মিলনী ও ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট তারই একটি ধারাবাহিক প্রয়াস।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাস্টার মেরিনার ও হায়াত হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মো. শওকত হোসেন চৌধুরী, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মোমিনুল হক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্বাস উদ্দীন, ড্রিমার্স কনসালটেশন এন্ড রিসার্চের মেডিকেল ডিরেক্টর, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী জসিম উদ্দাীন সরকার, এফডিইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন, বিএমটিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিটন মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম সোহাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান শোয়াইব ও চবি’র লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক এম. আলম সাদী প্রমুখ।

সামিটে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী, তরুণ পেশাজীবী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। পুরো আয়োজনে আলোচনা, মতবিনিময় ও নেতৃত্ব বিকাশের বাস্তব কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চলেছে প্রাণবন্ত সেশন। আয়োজক সংস্থা জানায়, ২০১০ সাল থেকে তারা দেশের তরুণ সমাজের ক্যারিয়ার গঠন ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই সামিট সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই একটি অংশ, যেখানে তরুণদের উৎসাহিত করতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঢ ব উপ চ র য র সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ