কনকাশন সমস্যায় মাত্র ২৭ বছর বয়সে অবসরে পুকোভস্কি
Published: 8th, April 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ১০০টি টেস্ট। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে উইল পুকোভস্কিকে থামতে হলো প্রথম টেস্টের পরই। বারবার মাথায় আঘাত পাওয়াতে কনকাশন বা মস্তিশজকে আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এই ওপেনার। শৈশব ও কৈশরে ফুটবল খেলা এই ব্যাটসম্যান মাথায় আঘাত পেয়েছেন মোট ১৩ বার। তবে সবশেষ আঘাতের পর চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন পুকোভস্কি।
অস্ট্রেলিয়ার এই ২৭ ওপেনারের মাথায় বলের আঘাত পাওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটা ঘটেছিল ২০২৪ সালের মার্চে। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলতে গিয়ে তাসমানিয়ার রাইলি মেরেডিথের বাউন্সারে হেলমেটে বল লাগায় বাধ্য হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন পুকোভস্কি। ওই ম্যাচটাই সর্বশেষ ম্যাচ হয়ে থাকল এই ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের।
অস্ট্রেলিয়ান রেডিও এসইএন মর্নিংয়ের সঙ্গে আলাপকালে নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে পুকোভস্কি বলেছেন, “আমি আর কখনো ক্রিকেট খেলব না। পুরো ঘটনাটা বলতে গেলে মনে হয় কয়েকঘণ্টা সময় লাগবে। তবে মূল কথা হচ্ছে, আমি আর কোনো পর্যায়েই ক্রিকেটই খেলব না।”
একের পর এক কনকাশনের (মাথায় আঘাতজনিত সমস্যা) ঘটনা তাঁর জীবনের ওপর কী প্রভাব ফেলেছে, সেটার বর্ণনাও দিয়েছেন পুকোভস্কি, “সর্বশেষ ঘটনার কয়েক মাস আমি কিছুই করতে পারিনি। এমনকি বাড়ির চারপাশে হাঁটাও কঠিন ছিল। আমার সঙ্গীও বিরক্ত হয়ে পড়ত, কারণ আমি ওকে বাড়ির কোনো কাজেই সহযোগিতা করতে পারতাম না। আমি সে সময় প্রচুর ঘুমাতাম। সে সময় থেকে, বছরটা খুবই কঠিন ছিল। এখনো অনেক উপসর্গ রয়ে গেছে, যা আমাকে অবসরের সিদ্ধান্তে নিয়ে এসেছে।”
চিকিৎসকেরা এই ব্যাটসম্যানকে গত বছরই অবসরের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৭ বছরেই ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্তটা সহজও নয়। পুকোভস্কির ভাষায়, “আমার মনে হয়েছিল, আমি পুরোপুরি সেরে ওঠার পর পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেব। যে সময় আমি ভুগছিলাম, ওই অবস্থায় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। চিকিৎসকেরা যখন আমাকে অবসরের সুপারিশ করলেন, সেটা আমার জন্য মেনে নেওয়া কঠিন ছিল।”
শেষদিকে পুকোভস্কি বলেছেন, “২৭ বছর বয়সে এসে, আমার সামনে অনেক কিছুই করার আছে। আমি জীবনে অনেক কিছু অর্জন করতে চাই। আরও ১৫টা বছর খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা না হওয়াটা সত্যিই কষ্টের। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, আমি আর মাথায় আঘাত পাব না। তবে যখন উপসর্গ দেখা দেয়, এটা ভীষণ ভয়াবহ।”
পুকোভস্কি ৭ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৩৬ ম্যাচে ৪৫.
২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ২৩ বছর বয়সী নবাগত পুকোভস্কি। প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রান করে আউট হন ডানহাতি এ ওপেনার। এরপর চোটে পড়ায় সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে আর খেলা হয়নি পুকোভস্কির।
আরো পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২২ গজে নাসির
প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর বয়স অবসর র ২৭ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।