কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের পাঁচটি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ এক তরুণকে আটক করেছে। তাঁর নাম মো. হাশিম (২৫)। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াপাড়ার আবদুল হকের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে হাশিমকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার দুপুরে ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে ‘ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বড় একটি মিছিল বের করা হয় কক্সবাজার শহরে। দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি কলাতলী সৈকত সড়কে পৌঁছালে কিছু উচ্ছৃঙ্খল তরুণ-যুবক আশপাশের কয়েকটি রেস্তোরাঁয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালান। হামলাকারীদের মধ্যে আটক হাশিমও ছিলেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে হাশিম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ওসি বলেন, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পর্যটন শহরের রেস্তোরাঁয় উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোকের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁমালিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া ওই মিছিলে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু সুবিধাবাদী ব্যক্তিরা মিছিল থেকে কয়েকটি রেস্তোরাঁতে ভাঙচুর চালিয়ে কক্সবাজারকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের শীর্ষ ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম

১সিগনাল ইদুনা পার্ক | ডর্টমুন্ড, জার্মানি সিগনাল ইদুনা পার্ক

সম্পর্কিত নিবন্ধ