রাজবাড়ীতে ২৬ কেজির কাতলা বিক্রি হলো ৪০ হাজার টাকায়
Published: 8th, April 2025 GMT
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ২৬ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকায়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা কাতলা মাছটি কেনেন। তিনি লাভে অন্যত্র বিক্রি করবেন।
কাতলা মাছটি আজ সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উজানে আরিচা ঘাটের কাছাকাছি পদ্মা নদীতে পাবনার জেলেদের জালে ধরা পড়ে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীদের কয়েকজন বলেন, আজ সকালে পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর এলাকার জেলে জামাল পরামানিক ও তাঁর লোকজন নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে বের হন। রাজবাড়ীর সীমান্তবর্তী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার কুশাহাটা ও মানিকগঞ্জের আরিচার কাছাকাছি এলাকায় জাল ফেলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিতে পৌঁছামাত্র জালে বড় ধরনের ঝাঁকি আঁচ করতে পারেন। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বিশাল আকারের এক কাতলা।
জামাল পরামানিকসহ তাঁদের লোকজন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাছটি বিক্রির জন্য আনেন দৌলতদিয়া ঘাটে। এ সময় মমিন মণ্ডলের আড়তে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা মাছটি কেনেন।
দুপুরে ফেরিঘাটে দেখা যায়, ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় চলছে জাটকা সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতামূলক সভা। এর কয়েক গজ দূরেই ৫ নম্বর ঘাটের কাছে সোহেল মোল্লার সুমাইয়া মৎস্য আড়তে বড় কাতলাটি দেখতে মৎস্য ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন।
এ সময় সোহেল মোল্লার ব্যবসায়িক অংশীদার মাসুদ মোল্লা বলেন, ‘২৬ কেজির একটু বেশি ওজনের এত বড় কাতলা এ মৌসুমে কম ধরা পড়েছে। মাছটি মমিন মণ্ডলের আড়তে নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪০ হাজার টাকায় কেনেন সোহেল মোল্লা। বর্তমানে বিক্রির জন্য আড়তে রেখে পরিচিতদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে লাভ পেলে বিক্রি করা হবে। আশা করা হচ্ছে, কাতলাটি অন্তত ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হবে।’
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় দ লতদ য় মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।