তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খুলনার রূপসা থেকে ঢাকাসহ সব রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাগেরহাটের কাটাখালি এলাকায় একজন বাসচালককে মারধর করার প্রতিবাদে রূপসা উপজেলার তিলক কুদির বটতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন পরিবহনশ্রমিকেরা। সকাল ৯টার দিকে ওই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রূপসা আন্তজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গাজী জানান, আজ ভোরে কাটাখালি এলাকায় বাসে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে মাহিন্দ্রার শ্রমিকেরা বাসের চালক বাচ্চুকে মারধর করেন। এর প্রতিবাদে সকাল ৯টা থেকে তাঁরা পূর্ব রূপসা থেকে বাগেরহাট, মোংলা, মোল্লাহাট ও রামপাল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।

পরে পরিবহনশ্রমিকেরা রূপসা উপজেলার কুদির বটতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকাসহ সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

বেলা ১১টার দিকে কুদির বটতলা মোড়ে দেখা যায়, দুটি বাস আড়াআড়ি রেখে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। খুলনার খান জাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) থেকে কুদির বটতলা হয়ে কাটাখালি পর্যন্ত খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে ব্যাপক যানজট দেখা যায়। অনেককে বাস থেকে নেমে ভ্যানে খুলনার দিকে যেতে দেখা যায়। পরে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে যান। দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধকারীদের দুটি দাবি ছিল—কাটাখালি মোড়ে পরিবহনশ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করা এবং আজ যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়। তাঁদের এই নায্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক দ র বটতল সড়ক অবর ধ এল ক য় ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ