খুলনার রূপসায় বাসচালককে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, তিন ঘণ্টা পর চলাচল শুরু
Published: 9th, April 2025 GMT
তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খুলনার রূপসা থেকে ঢাকাসহ সব রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাগেরহাটের কাটাখালি এলাকায় একজন বাসচালককে মারধর করার প্রতিবাদে রূপসা উপজেলার তিলক কুদির বটতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন পরিবহনশ্রমিকেরা। সকাল ৯টার দিকে ওই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রূপসা আন্তজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গাজী জানান, আজ ভোরে কাটাখালি এলাকায় বাসে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে মাহিন্দ্রার শ্রমিকেরা বাসের চালক বাচ্চুকে মারধর করেন। এর প্রতিবাদে সকাল ৯টা থেকে তাঁরা পূর্ব রূপসা থেকে বাগেরহাট, মোংলা, মোল্লাহাট ও রামপাল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
পরে পরিবহনশ্রমিকেরা রূপসা উপজেলার কুদির বটতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকাসহ সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
বেলা ১১টার দিকে কুদির বটতলা মোড়ে দেখা যায়, দুটি বাস আড়াআড়ি রেখে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। খুলনার খান জাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) থেকে কুদির বটতলা হয়ে কাটাখালি পর্যন্ত খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে ব্যাপক যানজট দেখা যায়। অনেককে বাস থেকে নেমে ভ্যানে খুলনার দিকে যেতে দেখা যায়। পরে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে যান। দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধকারীদের দুটি দাবি ছিল—কাটাখালি মোড়ে পরিবহনশ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করা এবং আজ যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়। তাঁদের এই নায্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক দ র বটতল সড়ক অবর ধ এল ক য় ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।