চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন নিলামে আলোড়ন তোলা প্রিয়াংশ
Published: 9th, April 2025 GMT
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) আইপিলের দুই ম্যাচের চার ইনিংসেই এসেছে দুইশর বেশি রান! তবে রাতের ম্যাচে আলাদা উত্তেজনা ছিল। পাঞ্জাব কিংসের মোকাবেলা করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। আর হলুদ শিবিরের ম্যাচ মানেই মহেন্দ্র সিং ধোনির মাঠে নামা। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক ম্যাচ জেতাতে পারুক বা না পারুক, বাইশ গজে তার উপিস্থিতি মানেই একটা উৎসব। তবে ধোনির থেকে অন্তত গতরাতের জন্য হলেও লাইমলাইটা কেড়ে নিয়েছেন প্রিয়াংশ আর্য নামেরে এক তরুণ।  
আর্যের ৩৯ বলের সেঞ্চুরিতে পাঞ্জাব নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৬ উইকেটে করেছিল ২১৯ রান। জবাবে ৫ উইকেটে ২০১ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে চেন্নাই। ১৮ রানে ম্যাচ জেতে পাঞ্জাব।
মুল্লানপুরে ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ৮৩ রান তুলতেই হারিয়েছিল ৫ উইকেট। সেই পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। অর্থাৎ, প্রথম ৫ উইকেট হারানোর পর পাঞ্জাব স্কোরবোর্ডে তুলেছে আরও ১৩৬ রান। আইপিএলে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পতনের পর সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের নতুন রেকর্ড এটি।
আরো পড়ুন:
হারের হ্যাটট্রিক গড়ল চেন্নাই
আইপিএলের জন্য ধোনির থাকা আবশ্যক: ক্রিস গেইল
ম্যাচে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় সেঞ্চুরি করেছেন প্রিয়াংশ, যা আইপিএলে চতুর্থ দ্রুততম। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ১০৩ রান করে আউট হন তিনি। ৮৩ রানে একাদশের অর্ধেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান হারানোর পর শশাঙ্ক সিংকে নিয়ে খেলতে থাকেন প্রিয়াংশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মাত্র ৩৪ বলে ৭১ রান যোগ করেন। দলীয় ১৫৪ রানে প্রিয়াংশ আউট হলে, প্রোটিয়া অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেনকে সাথে নিয়ে এগুতে থাকেন শশাঙ্ক। সেই জুটিতে ৩৮ বলে আসে ৬৫ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই শুরুটা ভালোই করে। ওপেনার রাচিন রবিন্দ্র ২৩ বলে ৩৬ রান করেন। আরেক কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৪৯ বলে ৬৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। শিভম দুবে ২৭ বলে ৪২ রান করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনেন। এরপরও বল ও রানের পার্থক্য অনেক বেশি ছিল। ধোনি মাত্র ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই থামে ৫ উইকেটে ২০১ রানে।
পাঞ্জাব ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে। অন্যদিকে ৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতে নবম স্থানে অবস্থান করছে চেন্নাই।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন