অজানা কারণে ম্যাক্সওয়েলের জরিমানা
Published: 9th, April 2025 GMT
ব্যাটে রান নেই। এখন পর্যন্ত আইপিএলে যে ৪ ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৩০। গতকালও চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটসম্যান আউট হন মাত্র ১ রান করে।
এমন বাজে সময় কাটানো ম্যাক্সওয়েলকে এবার দিতে হচ্ছে জরিমানাও। আইপিএলের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট। যদিও ঠিক কোন কারণে ম্যাক্সওয়েলের শাস্তি হয়েছে, আইপিএল কর্তৃপক্ষ সেটি জানায়নি।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি আচরণবিধি ২.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আইপিএলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নিজের ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা গুনেছেন এবং ১ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। ম্যাচ চলাকালে “ফিক্সচার ও ফিটিংসের অপব্যবহার” বিধি ভঙ্গের অভিযোগে লেভেল–১ মাত্রার অভিযোগ আনা হয় ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে। ম্যাক্সওয়েল অভিযোগ মেনে নিয়েছেন এবং ম্যাচ রেফারির দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন। আইপিএলের আচরণবিধির লেভেল–১-এর অপরাধের ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
আরও পড়ুন৬ বলে ৬ ছক্কা থেকে ৯ ছক্কায় রেকর্ড সেঞ্চুরি৭ ঘণ্টা আগেস্পষ্ট কারণ না বলায় ম্যাক্সওয়েলের শাস্তি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আচরণবিধির যে ধারায় ম্যাক্সওয়েলের শাস্তি হয়েছে, সেটিও প্রত্যক্ষভাবে ক্রিকেটীয় নয়।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, স্বাভাবিক ক্রিকেটের আচরণের বাইরের ঘটনাগুলোকে ২.২ ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন স্টাম্পে আঘাত করা বা লাথি মারা এবং এমন যেকোনো কাজ যা ইচ্ছাকৃতভাবে, বেপরোয়া বা অবহেলাবশত (এমনকি যদি তা দুর্ঘটনাবশতও হয়) বিজ্ঞাপন বোর্ড, বাউন্ডারি ফেন্স, ড্রেসিংরুমের দরজা, আয়না, জানালা ও অন্যান্য ফিক্সচার ও ফিটিংসে ক্ষতি করে।
আইপিএলে ম্যাক্সওয়েলদের পরের ম্যাচ শনিবার, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম য ক সওয় ল র আচরণব ধ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নারীদের নিয়ে বারে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আচরণ, আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এক পানশালায় ‘অমর্যাদাকর’ আচরণের জেরে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে হিব্রু সংবাদমাধ্যমের এক খবরে জানা গেছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে গতকাল মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আবুধাবি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে তারা আর ওই রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। এরপরই তেল আবিব সরকার উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়োসি আব্রাহাম শেলিকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে হিব্রু সংবাদমাধ্যম এন১২ বলেছে, শেলি কয়েকজন ইসরায়েলিকে নিয়ে আমিরাতের একটি বারে হাজির হন এবং এমন আচরণ করেন, যা আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা ‘অগ্রহণযোগ্য ও মর্যাদাহানিকর’ বলে ইসরায়েলকে জানান। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গীদের মধ্যে নারীরাও ছিলেন।
২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। গাজা যুদ্ধ ঘিরে বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের তুমুল সমালোচনা চললেও আবুধাবি এখনো দেশটির ঘনিষ্ঠতম আরব মিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে একমাত্র আরব দেশে সফর করতে পেরেছেন, তা হলো আরব আমিরাত। গত জানুয়ারিতে গাজায় এক সাময়িক যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার আমিরাত সফর করেন।
শেলির বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ আমিরাতের নজিরবিহীন এক পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। মাত্র এক কোটি জনসংখ্যার এ দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই আমিরাতি নন। দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমিক, ব্রিটিশ অভিবাসী, রুশ ধনকুবের ও অন্য প্রভাবশালীদের উপস্থিতি রয়েছে। আর দুবাই উপসাগরীয় অঞ্চলের নৈশকালীন বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
গত সপ্তাহে হিব্রু গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার রাতে আবুধাবিতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে শেলি এমন ‘অমর্যাদাকর’ আচরণ করেন, যা ব্যক্তি পরিসরের সীমা অতিক্রম করে। এর আগে তিনি ব্রাজিলে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং সেখানে দুটি বিতর্কিত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
এক ঘটনায় শেলি ব্রাজিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ডিনারের ছবিতে দেখা যায়, টেবিলে একটি লবস্টার কালো মার্কার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ইহুদি খাদ্যবিধি অনুযায়ী ঝিনুক–জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ।
২০২৩ সালে হারেৎজ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, এক ব্রাজিলীয় নারীর ভিসা–সংক্রান্ত আবেদনের জবাবে শেলি নিজে ই-মেইল ও ভিডিও কলে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, ইসরায়েলের ভিসা পেতে হলে ওই নারীকে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে হবে। পরে ওই নারী বলেন, এক ভিডিও কলে তিনি দেখেন, শেলি বিছানায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় শুয়ে আছেন।
‘আমি যখন ক্যামেরা চালু করলাম, দেখি তিনি বিছানায় শুয়ে ঘামছেন। বললেন, তিনি হাঁটাহাঁটি করে ফিরেছেন। খুবই অনুচিত ছিল ব্যাপারটা। আমি বলি, পরে কথা বললে হয় না? উনি বলেন, ‘‘না, এখনই বলি।’’ এরপর ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার কথা বলেন ও ব্রাসিলিয়ায় রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানান। আমি ভীষণ চাপে ও অস্বস্তিতে পড়ে যাই’, বলেন ওই নারী।
পরে শেলিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিযুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তাঁকে আমিরাতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘ইয়োসি ব্রাজিলে অত্যন্ত দক্ষ রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি শুধু ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই নন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন দায়িত্ব পালন করেছেন।’