বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গ্রিসজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট
Published: 9th, April 2025 GMT
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালন করছে গ্রিসের শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। এরফলে গ্রিসজুড়ে জনসেবা ব্যাহত হয়েছে, বন্দরে ফেরি বন্ধ রয়েছে, ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।
গ্রিসের আর্থিক সংকটের সময় আন্তর্জাতিক বেলআউটের অংশ হিসেবে বাতিল করা সম্মিলিত দর কষাকষির অধিকারের পূর্ণ পুনরুদ্ধারের দাবিতে বুধবার সরকারি ও বেসরকারি খাতের ইউনিয়নের দুটি শাখা ২৪ ঘণ্টার এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
গ্রিস ২০০৯-১৮ সাল পর্যন্ত ঋণ সংকটে ছিল। এর ফলে মজুরি ও পেনশনে বরাদ্দ কমানো হয়। ব্যয় সংকোচনের কারণে প্রায় ২৯০ বিলিয়ন ইউরো অর্থ সহায়তা পাওয়া গেছে। এর ফলে চলতি বছর দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অন্যান্য ইউরোজোন অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের অগ্রগতির উপর জোর দিয়ে রক্ষণশীল সরকার মাসিক ন্যূনতম মজুরি ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৮৮০ ইউরো করেছে। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলছে, খাদ্য, বিদ্যুৎ এবং আবাসনের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে এখনো অনেক পরিবার জীবনযাপনের ব্যয় নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
জেনারেল কনফেডারেশন অফ ওয়ার্কার্সের ইয়র্গোস ক্রিস্টোপোলোস আল জাজিরাকে বলেন, “আমাদের কনফেডারেশনের মজুরি দাবি হলো যৌথ মজুরি দর কষাকষি ফিরিয়ে আনা। ২০১২ সালের আগে, অর্ধেক গ্রিক শ্রমিকের যৌথ মজুরি চুক্তি ছিল। কিন্তু নিয়োগকর্তা ও ইউনিয়নগুলোর স্বাক্ষরিত একটি জাতীয় মজুরি চুক্তিও ছিল যার অর্থ ৯০ শতাংশেরও বেশি শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটি উপভোগ করতেন। এখন সরকার ব্যক্তিগত চুক্তিকে তার নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে। কিন্তু ব্যক্তিরা তাদের নিয়োগকর্তাদের সাথে দর কষাকষি করার ক্ষমতা রাখে না।”
তিনি বলেন, “দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে আমরা ২০১৯ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম পণ্য কিনছি। আমরা স্পষ্টতই ধর্মঘট করছি। এখন বেতন বৃদ্ধি এবং যৌথ শ্রম চুক্তি!”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে
রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোয়াপ কীসার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।