ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব
Published: 10th, April 2025 GMT
এক দশকের বেশি সময় পর ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। আগামী ১৭ এপ্রিল দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বেলোচ ঢাকায় পৌঁছাবেন। সফরে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন সূত্রে তা জানা গেছে।
জানা যায়, আমনা বেলোচের এ সফর মূলত দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক পরামর্শ বা ফরেন সেক্রেটারি লেভেল কনসালটেশনের অংশ হিসেবে হচ্ছে। এ সফর দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি হবে বলে জানা সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ সময় পর এ ধরনের দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক পরামর্শ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও জানায় হাইকমিশনের সূত্রটি।
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
উল্লেখ্য, ইসহাক দারের এই ঢাকা সফর হবে ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পরর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’
এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।