‘ও আপনে খোঁজ রাখেন নাই।....কয় দিন লাগবে? শুনেন, নাইলে আপনেরেই কিন্তু রিপিয়ার কইরা দিমু। বুঝতে পারছেন। আপনেরেই কিন্তু রিপিয়ার কইরা দিমু। পয়সা খাইবেন, পকেটে ঢুকাইবেন খালি, কাম করবেন না।’
একটি রাবার ড্যামের কাজ শেষ করা প্রসঙ্গে ফসলের মাঠ থেকে মুঠোফোনে একজন প্রকৌশলীকে এ কথাগুলো বলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জে হাওরে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সদর উপজেলার দেখার হাওরের গোবিন্দপুর এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা প্রতীকী ধান কেটে কর্মসূচির উদ্বোধনের পর কৃষকদের সঙ্গে হাওরের ফসল, ধানের দাম, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন কৃষক জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরটেক এলাকার গজারিয়া রাবার ড্যামের সমস্যার কথা জানান। এটি এখনো সংস্কার না হওয়ায় তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তখন উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর খোঁজ করেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন তখন সেখানে ছিলেন না। পরে উপদেষ্টা তাঁকে ফোন করে ওই রাবার ড্যামের বিষয়ে জানতে চান। সে সময় উপদেষ্টাকে এ কথাগুলো বলতে শোনা যায়। এ সময় উপদেষ্টা প্রকৌশলীকে রাবার ড্যামটির কাজ সাত দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
প্রকৌশলী কেন এখানে আসেননি, সেটিও জানতে চান উপদেষ্টা। একপর্যায়ে তাঁকে সেখানে আসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ফোনালাপের একটি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
উপদেষ্টা টেলিফোনে প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর পাশে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা বলেন, যদি ধান কেনায় কোনো সিন্ডিকেট হয়, সেটি তাঁরা ‘সোজা’ করে দেবেন। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে কোনো ঝামেলা হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ‘ঝামেলায়’ পড়বেন। তিনি তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদারকে ডেকে বাঁধের বিষয়ে খোঁজ নেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’

গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।

বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’

মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজ

এদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’

সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’

বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ