সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ দেশটির রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এ সময় উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি কামনাসহ আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। 

বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের উদ্যোগে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ উপলক্ষে আবুধাবির কাসর আল ওয়াতানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্যান্য দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণও তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। 

বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমিরাতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সুযোগে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তাঁর সদয় অনুভূতির জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তুলে ধরার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ, দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তিতে চলমান সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ পুনর্ব্যক্ত করেন।

একইসঙ্গে আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের স্বার্থের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রতি তার আগ্রহও জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তিনি তাঁর শুভকামনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ছাড়াও গুয়াতেমালা, দক্ষিণ সুদান, কিরগিজস্তান, পূর্ব তিমুর, তুরস্ক, টুভালু, ইসরায়েল, পানামা, কিংডম অব স্পেন, চাদ, জর্জিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হলো পরিবার সঞ্চয়পত্র। নারীরা এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি এবং প্রতি মাসে মুনাফা তোলা যায়।

পরিবার সঞ্চয়পত্র নামে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে অর্থাৎ পাঁচ বছর পর ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

বর্তমানে যে চারটি সঞ্চয়পত্র আছে, এর মধ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পরেই এই সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফার হার। ২০০৯ সালে এই সঞ্চয়পত্র চালু করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। দেড় দশক ধরে এই সঞ্চয়পত্র দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হিসেবে পরিচিত।

মূল্যমান কত

১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকা।

কোথায় পাওয়া যায়

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে কেনার পাশাপাশি নগদায়ন করা যায়।

মেয়াদ

পাঁচ বছর

মুনাফার হার

১ জুলাই থেকে সরকার সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে। যেমন পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

মেয়াদ পূর্তির আগে নগদায়ন করলে কম হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা থেকে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে।

উৎসে কর

পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে এবং এর অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।

কারা কিনতে পারবেন

তিন শ্রেণির বিনিয়োগকারী পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে। এক. ১৮ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী; দুই. যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা); তিন. ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা

একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) লাখ টাকা।

অন্য সুবিধা

পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় কিছু সুবিধা আছে। যেমন মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা পাওয়া যায়; নমিনি নিয়োগ বা পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়; সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন অথবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত যথারীতি মাসে মাসে মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন