ওষুধের কাঁচামাল শিল্প সমৃদ্ধে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্কার কমিশন
Published: 11th, April 2025 GMT
ওষুধশিল্পে পরনির্ভরতা কমাতে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সুলভ মূল্যে ওষুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশেই সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল তৈরির প্রস্তাব দেবে কমিশন। এই শিল্প সমৃদ্ধে থাকছে জোরালো নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা সুপারিশ।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর দারুস্ সালামে অবস্থিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সঙ্গে বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআইএমএ) এক বৈঠকে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ওষুধের ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। হাতেগোনা কয়েকটি দেশে এই কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরি করতে পারলে ঔষধ শিল্প আরও সমৃদ্ধ। এমনকি উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। সংস্কার কমিশন দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরিতে সুপারিশ করবে।
বৈঠকে বিআইএমএর সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ওষুধে কাঁচামাল শিল্পকে প্রসারে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে। আমাদেরও এই নীতি সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তিনি স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন প্রধানের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানান, প্রস্তাবগুলো ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন ও গবেষণায় এবং সম্পদ উন্নয়নেপ্রণোদনা দিতে হবে। দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদনে গ্যাস ও বিদ্যুৎতে ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে।
যেসব ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ১২০ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। তাদের আমদানি নিষেধ করা। নিবন্ধন ও অনুমোদন সহজীকরণ করতে হবে। স্থায়ীভাবে যারা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করবে, তাদের ভ্যাট ও ট্যাক্স মকুফ সুবিধা দেওয়া। ওষুধ প্রশাসনের ব্লক লিস্ট কমিটিতে বিএআইএমএ প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেড এর এম জামাল উদ্দিন, সোডিক্যাল মেডিকেল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিপ কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, ওয়ার্ল্ড এপিআই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্লান্ট ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডায়াবেটিকস সাইন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মাহমুদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস থ প রস ত উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।