ইকোপার্কে হচ্ছে মাশরুম ও মুক্তা চাষের কর্নার
Published: 11th, April 2025 GMT
পঞ্চগড়ে মুক্তা চাষে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য মাশরুম ও মুক্তা চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিরগড় ইকোপার্কের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন এ কর্মশালার আয়োজন করে। এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, ইকোপার্কে একটি মাশরুম ও মুক্তা চাষ কর্নার করা হবে।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার কর্মশালার উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ হিরুজ্জামান। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, সদরের ইউএনও জাকির হোসেনসহ প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সফল উদ্যোক্তা এবং প্রশিক্ষক হিসেবে নজরুল ইসলাম মাশরুম ও মুক্তা চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন এলাকার ৫৪ জন বেকার তরুণ-তরুণী অংশ নেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের মাশরুম ও মুক্তা চাষের কৌশল শেখানোর মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি ও স্বনির্ভর করার জন্য এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। আজ শনিবার মিরগড় ইকোপার্কে প্রশিক্ষণার্থীদের মাশরুম ও মুক্তা চাষে হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, জেলা প্রশাসন ইকোপার্কে একটি মাশরুম ও মুক্তা চাষ কর্নার করবে। এখান থেকে যুবকদের কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলায় মাশরুম ও মুক্তা চাষের বিকাশের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। এতে বেকাররা আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে উঠবে বলে আশা তাঁর।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, রাতারাতি কিছু হয় না। যেকোনো উদ্যোগ নিলে লোকসানও হতে পারে। ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে গেলে একদিন সফল হবেন। ধৈর্যের সঙ্গে মাথা খাটিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে মাশরুম ও মুক্তা চাষ করে সফলতা আসতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।