ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আজ শুক্রবারও ওয়াক্‌ফ (সংধোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ–বিক্ষোভ হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের পর আজ শুক্রবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলায় ওয়াক্‌ফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। দাবি তুলেছেন এই আইন অবিলম্বে বাতিল করার।

রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ছাড়াও মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, হুগলির চাপদানি, মুর্শিদাবাদের লালগোলাসহ কলকাতার পার্ক সার্কাস, আমতলায় আজ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে জবরদখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে এক প্রতিবেদনে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের কিছু নেতা এই রাজ্যে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে দখল করে রেখেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ, তৃণমূলের রাজ্য সভার সদস্য নাদিমুল হক ও কলকাতা পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর শাম্মীজাহান বেগম।

এই  চার নেতার মধ্যে দুই নেতা ফিরহাদ হাকিম ও নাসির উদ্দিন আহমেদ রাজ্যের ওয়াক্‌ফ বোর্ডের অন্যতম সদস্য।

অবশ্য এই রাজ্যের ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি নিয়ে সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৯৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য, সে সময় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি দিয়ে এই ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি নয়ছয় করার অভিযোগ তুলেছিলেন। তখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গীতেশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল।

ওই সময় মমতা রাজ্যের ১ হাজার কোটি মূল্যের ১৬০টি ওয়াক্‌ফ সম্পত্তির তালিকা দিয়েছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন, ওই সব সম্পত্তি ইজারা দেওয়ার সময় অনিয়ম করা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইন ব ত ল র দ ব ত কলক ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি এবং আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিকে পুলিশের ব্যারাকে নিয়ে আপ্যায়নের অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এ টি এস আই মামুন, কনস্টেবল আশিস, মো. ফয়সাল, সোহরাব মিয়া ও শাহদাত হোসেন। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে মামলার আসামি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ান আদালত পরিদর্শক বশির আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ব্যারাকের ভেতরে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একটি শিশু ছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর আসামিকে আপ্যায়নের অভিযোগে আদালত পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আমতলীতে আদালতের গারদখানার সংস্কারকাজ চলায় আসামিকে পুলিশ ব্যারাকে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর খাবারের আয়োজন করা হয়। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার