Samakal:
2025-08-01@02:30:55 GMT

ঊর্ধ্বমুখী হাসি সূর্যমুখীর

Published: 11th, April 2025 GMT

ঊর্ধ্বমুখী হাসি সূর্যমুখীর

পটুয়াখালীর দুমকীর মাঠে মাঠে এখন সূর্যমুখীর সমাহার। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সোনালি ফুল। সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন ফুলপ্রেমীরা। তাদের পদচারণায় মুখর গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন সূর্যমুখীর ক্ষেত। শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, এই ফুল এখন কৃষকদের কাছে এক অর্থকরী ফসল।
জানা গেছে, সূর্যমুখী তেলের ব্যাপক চাহিদা, কম খরচে চাষাবাদ ও অল্প সময়ে ফলন– এই তিন কারণেই সূর্যমুখীর দিকে ঝুঁকছেন দুমকীর কৃষক। 
দুমকী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, একসময় এ অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ হতো না বললেই চলে। কিন্তু ভালো মুনাফা হওয়ায় উপজেলায় দিন দিন সূর্যমুখীর চাষ বেড়ে চলেছে। চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ হেক্টর। বাস্তবে চাষাবাদ হয়েছে তার বেশি জমিতে। এ বছর বিশেষ করে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা, কোহারজোড়, দক্ষিণ শ্রীরামপুর, উত্তর শ্রীরামপুর, রাজাখালী, চরবয়ড়া গ্রামে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখীর চাষাবাদ হয়েছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামলা এলাকার কৃষক ধলু হাওলাদার বলেন, উপজেলার জামলা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এ বছর ৭০ শতাংশ জমিতে বারি সূর্যমুখী-২ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
কৃষক বাবুল খান, মনির হোসেন, হালিমা বেগম ও মানসুরা বেগম জানান, কয়েক বছর ধরে তারা হাইসান-৩৬ জাতের সূর্যমুখী চাষ করছেন। এ বছর  গাছে বেশ ভালো ফুল ফুটেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রয়োজনমতো সেচ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে সূর্যমুখীর বীজ বাজারে বিক্রি করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইসমিতা আক্তার সোনিয়া বলেন, সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল হয়, তা পুষ্টিসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যকর। ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে উপজেলার কৃষকদের সূর্যমুখী আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণিকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের সূর্যমুখীর প্রদর্শনী প্লট তদারকের পাশাপাশি ও নানা করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
দুমকী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.

ইমরান হোসেন জানান, দেশে উৎপাদিত ভোজ্যতেল দিয়ে শতকরা ১২ ভাগ চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাকি চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হয়।  ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে চাষিদের তেলজাতীয় শস্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ জন্য উপজেলায় শস্যমেলা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে চাষিদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে সার, বীজ, তেলবীজ সংগ্রহ ও তেল নিষ্কাশনের যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। আমদানিনির্ভরতা কমাতে উপজেলার চাষিদের সূর্যমুখীসহ অন্যান্য তেলজাতীয় শস্য উৎপাদনে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত ক ষকদ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ