পটুয়াখালীর দুমকীর মাঠে মাঠে এখন সূর্যমুখীর সমাহার। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সোনালি ফুল। সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন ফুলপ্রেমীরা। তাদের পদচারণায় মুখর গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন সূর্যমুখীর ক্ষেত। শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, এই ফুল এখন কৃষকদের কাছে এক অর্থকরী ফসল।
জানা গেছে, সূর্যমুখী তেলের ব্যাপক চাহিদা, কম খরচে চাষাবাদ ও অল্প সময়ে ফলন– এই তিন কারণেই সূর্যমুখীর দিকে ঝুঁকছেন দুমকীর কৃষক।
দুমকী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, একসময় এ অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ হতো না বললেই চলে। কিন্তু ভালো মুনাফা হওয়ায় উপজেলায় দিন দিন সূর্যমুখীর চাষ বেড়ে চলেছে। চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ হেক্টর। বাস্তবে চাষাবাদ হয়েছে তার বেশি জমিতে। এ বছর বিশেষ করে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা, কোহারজোড়, দক্ষিণ শ্রীরামপুর, উত্তর শ্রীরামপুর, রাজাখালী, চরবয়ড়া গ্রামে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখীর চাষাবাদ হয়েছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামলা এলাকার কৃষক ধলু হাওলাদার বলেন, উপজেলার জামলা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এ বছর ৭০ শতাংশ জমিতে বারি সূর্যমুখী-২ জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
কৃষক বাবুল খান, মনির হোসেন, হালিমা বেগম ও মানসুরা বেগম জানান, কয়েক বছর ধরে তারা হাইসান-৩৬ জাতের সূর্যমুখী চাষ করছেন। এ বছর গাছে বেশ ভালো ফুল ফুটেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রয়োজনমতো সেচ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে সূর্যমুখীর বীজ বাজারে বিক্রি করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইসমিতা আক্তার সোনিয়া বলেন, সূর্যমুখীর বীজ থেকে যে তেল হয়, তা পুষ্টিসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যকর। ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে উপজেলার কৃষকদের সূর্যমুখী আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণিকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের সূর্যমুখীর প্রদর্শনী প্লট তদারকের পাশাপাশি ও নানা করণীয় সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
দুমকী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ক ষকদ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট