বিদেশ যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় নিহত, ২ মাস পর ফিরল প্রবাসীর লাশ
Published: 12th, April 2025 GMT
ভাগ্য বদলাতে দেশ ছেড়ে মেসিডোনিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন তেঁতুলিয়ার রুহুল আমিন। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় খবর আসে এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।অবশেষে মৃত্যুর ২ মাস পর শুক্রবার মরদেহ ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।
রুহুল আমিন তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, রুহুল আমিন দেশে প্রায় ১৫ বছর মাইক্রোবাসের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করার পরে ভাগ্য বদলের আসায় নিজের বাড়ি ভিটা বাদে সব জমি বিক্রি করে ১২ লাখ টাকা খরচ করে গত ২৫ জানুয়ারি পাড়ি জমান মেসিডোনিয়া। কিন্তু কে জানতো সেখান থেকে ভাগ্য পরিবর্তন করে আর দেশে ফিরে আসা হবে না, ফিরতে হবে লাশ হয়ে। অবশেষে মৃত্যুর ২ মাস পর শুক্রবার মরদেহ ফিরে পেয়েছে তার পরিবার। শুক্রবার বিকেলে রুহুলের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
তার এই মৃত্যুতে পরিবারের নেমে এসেছে শোকের ছায়া, তার গর্ভবতী স্ত্রীসহ রেখে গেছেন তিনটি মেয়ে সন্তান। এই সন্তানদের কী হবে সেই দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে পরিবারটির।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।