আইপিএলের চলতি মৌসুমে প্রথম ম্যাচে জিতলেও পরের চার ম্যাচে হারের স্বাদ পায় চেন্নাই সুপার কিংস। এরপর নিয়মিত অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড় আসর থেকে ইনজুরি নিয়ে ছিটকে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খায় দলটি। চেন্নাইয়ের নেতৃত্বভার নেন অভিজ্ঞ এমএস ধোনি। 

তার নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চেন্নাই। বরং আরও বড় ব্যবধানে হেরেছে। এদিন ইডেন গার্ডেন্সে চেন্নাই শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৩ রান তুলতে পারে। কেকেআর ওই রান ৮ উইকেট হাতে রেখে ১০.

১ ওভারে তুলে ফেলেছে। কেকেআরের হয়ে সুনীল নারিন ১৮ বলে ৪৪ রান করেন। 

এর আগে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫০ রানে, রাজস্থানের রয়েলসের বিপক্ষে ৬ রানে, দিল্লির বিপক্ষে ২৫ হারে ও পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৮ রানে হেরেছে চেন্নাই। দলটির এমন বাজে ফর্মের পরও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি দাবি করেছেন, তারা প্লে অফে খেলতে পারবেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সাদা পতাকাটা কেবল উড়াতে পারিনি। আইপিএল লম্বা টুর্নামেন্ট। এখানে কেবল একটা মোমেন্টাম দরকার। আপাতত সেই মোমেন্টাম আমাদের হাতে নেই। আমরা ধারাবাহিক ভালো খেলতে পারছি না। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাবে না এমন না, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাবে না তাও নয়। আমরা মোমেন্টাম পেলে প্লে অফে খেলা সম্ভব।’ 

চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলের সফলতম দল। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন তারা। সেবার দলটির অধিনায়ক ছিলেন এমএস ধোনি। ভারতীয় এই কিংবদন্তির নেতৃত্বে আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলে পাঁচটি শিরোপা আছে চেন্নাই সুপার কিংসের শোকেসে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমএস ধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ