রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য রেকর্ড ১২ হাজার কোটি টাকা
Published: 12th, April 2025 GMT
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। ফুটবল খেলে তার রোজগার, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, সোস্যাশ মিডিয়া থেকে আসা অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকায় যে অর্থ তিনি উপার্জন করেন তার সঙ্গে রোনালদো ব্র্যান্ড ব্যবহার করে অন্যের করা আয়কে একত্রিত করে ২০২৫ সালে সিআরসেভেন ব্র্যান্ডের মূল্য দাঁড়াবে রেকর্ড ৮৫০ মিলিয়ন ইউরো বা ১১ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।
পর্তুগালের পর্তুগিজ ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিস্ট্রিট্রেশন এন্ড মার্কেটিং এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছে। তাদের পাওয়া তথ্য মতে, রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর থেকে বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেন। বিজ্ঞাপন থেকে বছরে তার আয় আসবে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া তার ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় আছে।
এর সঙ্গে রোনালদোর আছে সিআরসেভেন ক্লোদিং ব্র্যান্ড। আন্ডারওয়ার, জুতা ও সুগন্ধী বিক্রি হয় এই ব্র্যান্ড থেকে। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় তার হোটেল ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ব্যয়বহুল সম্পত্তি রয়েছে। জার্মানির একটি দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক শেয়ার রয়েছে। এছাড়া রোনালদো ফুটবল ক্লাব কেনার চেষ্টা করছেন। এসব ব্যবসা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করেন তিনি।
সঙ্গে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে অনেক ধরনের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ও রয়েছে। যেমন অ্যামাজনে রোনালদোর নামে ৪০০’র মতো বই রয়েছে। তার আর্থিক মূল্য রয়েছে। আবার প্রতি বছর বিশ্বে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে ২ কোটি ২৩ লাখের মতো সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এটারও আর্থিক মূল্য আছে। সব কিছু বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য।
রোনালদোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। এই বয়সে ক্রীড়াবিদদের ব্র্যান্ড ভেল্যু সাধারণত কমে। রোনালদোর মূল্য বাড়ার কারণ হচ্ছে এখনো তিনি গোল করে যাচ্ছেন। এক হাজার গোলের লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছেন তিনি। সৌদি লিগে আসার কারণে তার বেতন পূর্বের চেয়ে কয়েক গুন বেড়েছে। আবার বিজ্ঞাপন থেকেও তার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উলফ স্পোর্টসের মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার ফ্যাবিও উলফ বলেছেন, ‘রোনালদো ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মার্কেটিং ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিভা, পরিশ্রম, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, জীবন শৃঙ্খলা ও অন্যান্য কৌশলের কারণে তার ব্র্যান্ড ভেল্যু এই পর্যায়ে এসেছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী