ডিপিএলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ৩৯ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। সেঞ্চুরি করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম। এছাড়া শাইনপুকুরকে ২৮ রানে হারিয়েছে নাসির হোসেনদের রূপগঞ্জ টাইগার্স। 

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গুলশানের বিপক্ষে ব্যাট করে প্রাইম ব্যাংক ৪৭.

৩ ওভারে ২০৩ রান করে অলআউট হয়। ওপেনার নাঈম শেখ ৩৬ রান করেন। জাকির হাসান মিডলে নেমে ২২ ও ইরফান শুক্কুর দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। 

জবাবে গুলশান ৩৭.১ ওভারে জয় তুলে নেয়। দলটি ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান যোগ করে। আজিজুলের ওপেনিং সঙ্গী জাওয়াদ আবরার ৩৩ রান করে আউট হন। জুনিয়র তামিম খেলেন ১০৬ বলে ১০৫ রানের ইনিংস। তিনি ১০টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কার শট খেলেন। খালিদ হাসান ৩৮ রান করেন। 

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুরের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে রূপগঞ্জ টাইগার্স ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করে। দলটির ওপেনার আব্দুল মজিদ ১৩৯ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন। নাসির হোসেন ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। মাহমুদুল হাসান ৫৬ রান যোগ করেন। 

জবাবে শাইনপুকুর থামে ৪৪ ওভারে ২০৩ রানে। দলটির তিন ব্যাটার ঠিক ৫০ করে রান করে সাজঘরে ফেরেন। তারা হলেন ওপেনার মুমিনুল ইসলাম তন্ময়, চারে নামা রহিম আহমেদ ও ছয়ে নামা শাহরিয়ার সাকিব। জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল ৯ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে ধসিয়ে দেন।     

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল আজ জ ল হ ক ম শ ইনপ ক র র ন র ইন র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ