বয়স বাড়লে চেহারায় আসবে কতটা পরিবর্তন, চ্যাটজিপিটিতে যেভাবে দেখা যায়
Published: 13th, April 2025 GMT
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এ বাস্তবতা সবাই জানেন। তবে বয়স বাড়লে চেহারায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা আগেভাগেই দেখে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। জনপ্রিয় এআই মাধ্যম চ্যাটজিপিটির সাহায্যে এখন আগাম দেখে নেওয়া যাচ্ছে ৪০, ৫০ বা ৬০ বছর বয়সে মুখাবয়বে কী রকম পরিবর্তন ঘটতে পারে।
চ্যাটজিপিটির নতুন ছবি তৈরির সুবিধা ব্যবহার করে খুব সহজ কয়েকটি ধাপে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মুখচ্ছবি দেখে নেওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন একটি পরিষ্কার ছবি ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে ব্যবহারকারীকে তাঁর সাম্প্রতিক একটি ছবি চ্যাটজিপিটিতে আপলোড করতে হবে।
ছবিটিতে যেন মুখমণ্ডল স্পষ্ট দেখা যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পরিষ্কার ও স্পষ্ট ছবি আপলোড করার পর চ্যাটজিপিটিকে সুনির্দিষ্ট প্রম্পট দিতে হবে। কোন বয়সে নিজের চেহারা দেখতে চান, তা উল্লেখ করতে হবে। ‘ক্যান ইউ শো মি হোয়াট আই মাইট লুক লাইক ইন মাই ফোরটিস বেজড অন দিস ফটো’ এমন প্রম্পট দিতে হবে। কেউ চাইলে প্রম্পটে একসঙ্গে একাধিক বয়সও উল্লেখ করতে পারেন। প্রম্পট দেওয়ার পর চ্যাটজিপিটি ছবি প্রক্রিয়াকরণ শুরু করবে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই বয়সভিত্তিক সম্ভাব্য মুখচ্ছবি তৈরি করে দেবে। তবে চ্যাটজিপিটি যে ছবি তৈরি করে, তা বাস্তব নয়। এটি একটি অনুমাননির্ভর ভবিষ্যদ্বাণী। বাস্তব জীবনে চেহারায় কী রকম পরিবর্তন আসবে, তা নির্ভর করে নানা স্বাস্থ্যগত ও পরিবেশগত বিষয়ের ওপর।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।