মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় আটক, তা সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল
Published: 13th, April 2025 GMT
মডেল মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
গত বুধবার রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে রাখে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মাধ্যমে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল শনিবার ডিএমপির ডিবির প্রধানের পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনবিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ, মডেল মেঘনা কারাগারে১১ এপ্রিল ২০২৫আটক করার সময় মেঘনা আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন। তিনি তখন বলছিলেন, তাঁকে কেউ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে এই মডেলের নিখোঁজ হওয়ার আলোচনা সামনে আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর পরিচিতজন ও সচেতন নাগরিকদের অনেকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তবে পুলিশ জানায়, মেঘনা আলমকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তাঁকে আইন অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনডিবিপ্রধানের পদ থেকে রেজাউলকে সরিয়ে দেওয়া হলো৩৯ মিনিট আগেগত শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত এই মডেলের আটকের বিষয়ে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য পাওয়া গেছে। সেখানে আইনের ধারা অনুযায়ী অপরাধের কথা উল্লেখ থাকলেও এই মডেল কীভাবে সেই অপরাধে জড়িয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখার কারণ হিসেবে যা বলল পুলিশ১১ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনমডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা এমএসএফের১৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আটক
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে নেয়ার আগে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএনপি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল