ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ আগুনে পোড়ানোর তদন্ত খুব কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে। সোমবার সকালে শোভাযাত্রা শুরুর আগেই জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে সম্ভব হব, ইনশাআল্লাহ। 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, খুব শিগগির গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি। আগামীকাল (সোমবার) আনন্দ শোভাযাত্রা শুরুর আগেই আগুনের ঘটনার মামলার ভালো খবর দেওয়া হবে। 

নববর্ষের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকায় ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া রয়েছেন র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। রমনার বটমূলে প্রবেশের জন্য তিনটা গেট এবং বের হওয়ার জন্য থাকবে দুইটা গেট। বিকাল পাঁচটার পর রমনায় কেউ ঢুকতে পারবে না। 

শোভাযাত্রার নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাঝপথ থেকে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবে না। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড়ে যাবে। এরপর শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে আবার টিএসসি ও চারুকলায় গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ আগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা