এমবাপ্পের ‘গোপন’ বিষয় জানাতে বই লিখছেন ক্যাম্পোস
Published: 13th, April 2025 GMT
কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ঘিরে নতুন এক সত্য উন্মোচনের অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব। প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়ার পর তার দলবদলের নেপথ্য কাহিনী, ক্লাবের অভ্যন্তরীণ সংকট ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলতে চলেছেন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস। জনপ্রিয় ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ক্যাম্পোস একটি বই লিখছেন যেখানে তিনি সবকিছু খোলাসা করবেন বলে জানিয়েছেন। বইটিতে ক্যাম্পোস নিজের দায়িত্বকালীন অভিজ্ঞতা, দলবদলের কৌশল এবং ক্লাব পরিচালনার নানান অজানা দিক তুলে ধরবেন।
মোনাকো থেকে পিএসজি, দুই ক্লাবেই এমবাপ্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ক্যাম্পোসের। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্কের পর যখন এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন তিনিই ছিলেন তার পাশে। সেই সময় এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘লুইস ক্যাম্পোস আর কোচ লুইস এনরিক না থাকলে আমি পিএসজির হয়ে আর খেলতাম না।’
২০২৪ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এমবাপ্পে। তার এই বিদায়ের নেপথ্য গল্প নিয়েও ক্যাম্পোস মুখ খুলবেন বইটিতে এমনটাই ধারণা ফুটবল বিশ্লেষকদের।
মোনাকোতে থাকাকালীনই ক্যাম্পোস নজর কাড়েন তরুণ প্রতিভা তুলে আনার দক্ষতায়। তার গড়া দল ২০১৬-১৭ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতে। এরপর লিলে গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহায়েস, রাফায়েল লেয়াও, নিকোলাস পেপের মতো খেলোয়াড়দের কিনে বিশাল মুনাফায় বিক্রি করে খ্যাতি কুড়ান। সেই ধারাবাহিকতায় পিএসজিকেও নতুন রূপ দিয়েছেন তিনি।
তবে পিএসজির সঙ্গে ক্যাম্পোসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী গ্রীষ্মে। নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় গুঞ্জন উঠেছে, তিনি অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। আর্সেনালের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকার গুঞ্জন ছিল, যদিও ওই পদে এখন ইতালিয়ান আন্দ্রেয়া বের্তা নিয়োগ পেয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প এসজ ক ল য় ন এমব প প এমব প প প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।
১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।
ঢাকা/আহসান/রাজীব