কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ঘিরে নতুন এক সত্য উন্মোচনের অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব। প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়ার পর তার দলবদলের নেপথ্য কাহিনী, ক্লাবের অভ্যন্তরীণ সংকট ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলতে চলেছেন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস। জনপ্রিয় ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ক্যাম্পোস একটি বই লিখছেন যেখানে তিনি সবকিছু খোলাসা করবেন বলে জানিয়েছেন। বইটিতে ক্যাম্পোস নিজের দায়িত্বকালীন অভিজ্ঞতা, দলবদলের কৌশল এবং ক্লাব পরিচালনার নানান অজানা দিক তুলে ধরবেন।

মোনাকো থেকে পিএসজি, দুই ক্লাবেই এমবাপ্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ক্যাম্পোসের। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্কের পর যখন এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন তিনিই ছিলেন তার পাশে। সেই সময় এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘লুইস ক্যাম্পোস আর কোচ লুইস এনরিক না থাকলে আমি পিএসজির হয়ে আর খেলতাম না।’

২০২৪ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এমবাপ্পে। তার এই বিদায়ের নেপথ্য গল্প নিয়েও ক্যাম্পোস মুখ খুলবেন বইটিতে এমনটাই ধারণা ফুটবল বিশ্লেষকদের।

মোনাকোতে থাকাকালীনই ক্যাম্পোস নজর কাড়েন তরুণ প্রতিভা তুলে আনার দক্ষতায়। তার গড়া দল ২০১৬-১৭ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতে। এরপর লিলে গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহায়েস, রাফায়েল লেয়াও, নিকোলাস পেপের মতো খেলোয়াড়দের কিনে বিশাল মুনাফায় বিক্রি করে খ্যাতি কুড়ান। সেই ধারাবাহিকতায় পিএসজিকেও নতুন রূপ দিয়েছেন তিনি।

তবে পিএসজির সঙ্গে ক্যাম্পোসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী গ্রীষ্মে। নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় গুঞ্জন উঠেছে, তিনি অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। আর্সেনালের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকার গুঞ্জন ছিল, যদিও ওই পদে এখন ইতালিয়ান আন্দ্রেয়া বের্তা নিয়োগ পেয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসজ ক ল য় ন এমব প প এমব প প প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ