কয়েকশত লোক বাড়ি হামলা করে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 13th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় সালিশ থেকে গিয়ে কয়েকশত মানুষ বাড়িঘর ভাঙচুর করে নিজ ঘরে বাবা আব্দুল গফুর (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসানকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা করার পর রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করেছে লোকজন।
বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম প্রায় পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। যারা গ্রামে আছে, তারাও ভয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে নারীর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
নড়াইলে ছুরিকাঘাতে মাইক্রোবাস চালক নিহত
নাওগাঁও গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আব্দুল গফুর ও আব্দুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরির অভিযোগ ছিল। এ সব কারণে তাদের নিজের গোষ্ঠীর লোকজনও অতিষ্ঠ ছিল বলে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরি ঘটনায় গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে গ্রামে সালিশে বসার কথা ছিল। দুপুরে গফুরের বাড়ি সংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সামনে গ্রামের শত শত মানুষের সালিশ বসে। সালিশে আব্দুল গফুর ও মেহেদী হাসান উপস্থিত না হয়ে নিজ ঘরে রাম দা নিয়ে বসে থাকে। তাদের খোঁজে সালিশের লোকজন বাড়িতে গেলে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে আব্দুল গফুর। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আব্দুল গফুর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করে। বাবা ও ছেলেকে হত্যা করার পর শত শত মানুষ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুন অর রশিদ নামে একজনের বাসা, দোকান ও একটি মাজার ভাঙচুর করে।
আব্দুল গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, ‘‘স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ সালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। যত অপরাধই করে থাকুক দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। বাবা ও ছেলেকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করলো?’’
বাবা ও ছেলে নিহত হওয়ার পরপরই সালিশকারীরা ঘা ঢাকা দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/মিলন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য শত ম ন ষ ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ আরও দুয়েক দিন, এর পর বৃষ্টি
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও দুয়েক দিন চলার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, ১৫-১৬ জুনের দিকে দিনের বেশির ভাগ সময়ই বৃষ্টি থাকবে, সপ্তাহখানেকের আগে থামার সম্ভাবনা কম। তখন তাপমাত্রা কমে আসবে। কম অনুভূত হবে গরম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার দেশের ২৬ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি কিছু জায়গায় প্রশমিত হলেও পুরো দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ১৬ জুন থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ফলে তখন গরম অনেকটা কমে যাবে। এর আগ পর্যন্ত তিন দিন তাপপ্রবাহ কমবে-বাড়বে। এখন বর্ষাকাল। প্রতিদিন প্রতিটি বিভাগেই বৃষ্টির আভাস থাকে। বিভাগগুলোর সব জেলায় বৃষ্টি হয় না বা হলেও বেশিক্ষণ হয় না। তাই তাপপ্রবাহ বা গরম কমছে না।
রংপুর অফিস জানায়, তীব্র তাপদাহে পুড়ছে রংপুর অঞ্চল। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুক্রবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে কয়েক দিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ মাঠে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে বাড়ছে রোগ।