জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
Published: 13th, April 2025 GMT
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, চাষাড়া মোড়ে কোনো ধরনের স্ট্যান্ড থাকবেনা। সকলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এখান থেকে সব স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হবে।
ইতিমধ্যেই আমরা চাষাড়ায় ১৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি, কোন পরিবহন কোথায় গাড়ি দাড় করিয়ে রাখে, কোথা থেকে যাত্রী তুলে সবই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
অতি শীঘ্রই পুরো নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হবে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে একথা বলেন তিনি। রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মৌমিতা বাসসহ অন্যান্য বাস কেন রাস্তায় দাড়িয়ে যাত্রী তুলে এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির কাছে, সিরাজদ্দৌলা সড়কের ড্রেন সংস্কারের কাজ কবে শেষ হবে এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের কাছে জানতে চান জেলা প্রশাসক।
একইসাথে, চাষাড়া মোড়ে কোনো ধরনের স্ট্যান্ড থাকবেনা, নারায়ণগঞ্জ জেলার বাইরের কোনো সিএনজি শহরে প্রবেশ করতে পারবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, চাষাড়ায় ট্রেনের লাস্ট স্টপেজ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রেন স্টপেজ যাতে চাষাড়াতে সীমাবদ্ধ থাকে এবং শহরে প্রবেশ না করে জেলা প্রশাসকের এমন প্রস্তাবকে সমর্থন করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের এই প্রস্তাবকে পূর্ণ সমর্থন করি।
এটি করতে পারলে শহরের যানজট অনেকাংশেই কমে যেতো। তাই চাষাড়া পর্যন্তই ট্রেন স্টপেজ থাকা দরকার। অতীতে বিভিন্ন জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে বারবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে, আমরা আশা করি বর্তমান জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন।
তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক লিখিত আকারে এ বিষয়টি জানাতে বলেন। এছাড়া, জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিদিন ৩ ঘন্টারও বেশী সময় নগরবাসীকে যানজটে আটকা পড়তে হয় ট্রেনের সিগন্যালের কারণে।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জাটকা ধরতে নিষেধ করা হয়। জাতি হিসেবে আমরা নিজেরা কি নির্দিষ্ট এই সময়ে জাটকা বিক্রি থেকে দুরে থাকতে পারিনা। এইসব কালচার থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অপরাধী যেই হোক, সে অপরাধী। তার কোনো দলীয় পরিচয় নেই, অপরাধীকে অপরাধীর মতোই ট্রিট করতে হবে। কোনো প্রকার ছাড় দেয়া যাবে না।
শহরের যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সাথে এ বিষয়ে আমি কথা বলেছি, ময়লাগুলো কোনো বক্সে রাখা যায় কিনা এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মতো একটি শহর, যার সৃষ্টি বহু আগে থেকে, যাকে প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হতো, এমন একটি জেলায় এভাবে উন্মুক্ত অবস্থায় ময়লা রেখে পরিবেশ নষ্ট করার বিষয়টি কাম্য নয়।
সবশেষে তিনি বলেন, মহান স্বাধীণতা দিবস, পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও লাঙ্গলবন্দ স্নানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম ও সময় আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পার করেছি। আপনাদের সকলের সহযোগীতায় এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিলো।
তবে, বিরোধী একটি পক্ষ দেশে নেগেটিভ কাজ করতে চায়, দেশে নেগেটিভ ঘটনা ঘটিয়ে বহির্বিশে^র কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়, এটা যেন করতে না পারে, সেজন্য সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, জেলাকে মাদকমুক্ত করতে কাজ করছি, যা চলমান থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, জেলা সিভিল সার্জন ডা.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সোনারগাঁ থানা এবং সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সোনারগাঁ থানা এবং পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে চিঠি দিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও পৌরসভা বিএনপি সভাপতি শাজাহান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মেম্বারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, "নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা পুনর্গঠন করার কারণে সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং সোনারগাঁ পৌর বিএনপির উপর নতুনের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে।
তাই আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সোনারগাঁ থানা এবং সোনারগাঁও বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার যাতে আগামী নির্বাচনে আমাদের বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে পারি।
আপনাদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রস্তাব করছি। আমাদের এই প্রস্তাবটি আপনাদের থানা পৌর কমিটির সভায় উপস্থাপন করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।"
উল্লেখ থাকে যে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। এই দুই থানার ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন এই আসনের জনপ্রতিনিধি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাইকমান্ড সারা দেশের সকল সংসদীয় আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নির্ধারিত দুই থানার দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প নাই বলে মনে করেন সকলে। বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন প্রশ্নে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিভেদ বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করে দলীয় প্রতীকের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আসন্ন নির্বাচনে এর করা মাশুল গুনতে হবে বলে আশংকা রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের।
এরই আলোকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের নির্ধারিত সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নেওয়া জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
সেই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এই আহবানে সাড়া দিয়ে সোনারগাঁ বিএনপির নেতাকর্মীরা সকল বিভেদ বিভক্তি ভুলে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ তাদের।