ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।

সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার। 

এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.

রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র ব তরণ কর মকর ত বর দ দ স রগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা

অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৫ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ২৭ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে ফিরেছে প্রোটিয়ারা। সেই চক্র শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে নতুন মিশন।

আগামী ১৭ জুন গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেই শুরু করবে ২০২৫-২০২৭ চক্র। নতুন এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি সিরিজ খেলবে প্রতিটি দল। তিনটি ঘরের মাঠে, তিনটি বিদেশে। বাংলাদেশ খেলবে সর্বমোট ১২টি টেস্ট ম্যাচ, যা এই চক্রে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

দেশ ছাড়ার আগে এই নতুন চক্র নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই চক্রে অন্তত তিন কিংবা চার নম্বরে থাকতে চাই।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার। প্রথম দুই চক্রে (২০১৯-২১ ও ২০২১-২৩) একটি করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। তবে ২০২৩-২৫ চক্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। ১২ ম্যাচে ৪টি জয়, তার মধ্যে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয়ের স্মরণীয় কীর্তিও আছে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট জয় এখন ৫, ড্র ২ এবং হার ২৪ ম্যাচে।

আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

নতুন চক্রে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সিরিজই খেলবে। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ২০২৬ এর মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সিরিজ ও  ২০২৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ