ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহার করায় খেলাটাকে আরও বেশি করে ব্যাটসম্যানদের খেলা বানিয়ে দিয়েছে। এমন অভিযোগ অনেক আগে থেকে করে আসছেন বোলাররা।

আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বলে খেলা শুরু হয়। তাতে একেকটি বলে ২৫ ওভার করে খেলা হয়। ফলে বল পুরোনো হয় না। রিভার্স করার সুযোগ পান না বোলাররা। যা ব‌্যাটসম‌্যানদের জন‌্য খেলাটাকে আরো সহজ করে দিয়েছে।

ব্যাট এবং বলের মধ্যে কিছুটা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ওয়ানডেতে বিদ্যমান দুই বলের খেলার নিয়ম পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করছে আইসিসি। এই সপ্তাহে হারারেতে আইসিসির সভায় ইনিংসের ৩৫তম ওভার থেকে মাত্র একটি বল ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

টিভিতে আজকের খেলা

নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা

সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট কমিটি বোর্ডের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এই সুপারিশ করেছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ফিল্ডিং দলকে ৩৪তম ওভারের পরে কোন বলটি দিয়ে খেলতে চান তা নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে, যখন দুটি বলই ১৭ ওভারের পুরনো হবে। যে বলটি বেছে নেওয়া হবে না তা প্রয়োজনে অতিরিক্ত বল হিসেবে রাখা হবে।

ক্রিকেট কমিটি ২৫ ওভারের পর বল পরিবর্তনের কথা আগেই ভেবেছিল। কিন্তু কমিটির মধ্যে খুব বেশি সমর্থন পাওয়া যায়নি। তারা মনে করে ১৭ ওভারের জন্য বল ব্যবহার করার আগে কোনটি ব্যবহার করা বেশি উপযুক্ত তা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বোর্ড এই মাসের শেষের দিকে এই পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি ঐক্যমত্য হয়, তাহলে জুলাই মাসে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় এটি আনুষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়া হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স ব যবহ র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ