ছেলেকে বড় আলেম বানাতে চান সাফিয়া বোরহান দম্পতি
Published: 15th, April 2025 GMT
পহেলা বৈশাখে ভোর। তখনো সূর্য ওঠেনি, কিন্তু উজ্জ্বল চরাচর জানান দিচ্ছে জীর্ণ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন আরেকটি বাংলা বছর। এমন মুহূর্তেই জীবনের এক কাঙ্খিত সুখবর পেলেন সাফিয়া নূরি ও মো. বোরহান দম্পতি। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পহেলা বৈশাখে ভোর ৫টা ১২ মিনিটে জন্ম নিলো তাদের তৃতীয় সন্তান। ধীরে ধীরে সময় গড়ায় আর বাইরে সবার মধ্যে বৈশাখী আনন্দ। শহরে হয়তো চলছে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি, পাহাড় আনন্দে রঙিন বৈসাবী উৎসবে। তখন নবজাতক ছেলে সন্তানকে কাছে পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থাতেও মা সাফিয়ার চোখে মুখে যে হাসি খেলে গেছে, সে আনন্দ তো আসলে হার মানায় পার্থিব অন্য সব আয়োজনকেই। বাবা বোরহান তো বলেই দেন, এটা আমাদের স্মরণীয় পহেলা বৈশাখ।
সাফিয়া ও বোরহান দম্পতি নবজাতকের এখনো নাম রাখেননি। তবে এখন থাকতেই ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। সাফিয়া জানান, পহেলা বৈশাখে তার সন্তান জন্মগ্রহণ করায় খুবই খুশি। ছেলে বড় হলে তাকে নামকরা আলেম বানাতে চান। তিনি ছেলে ও তার সুস্থ্যতার জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
জানা গেছে, গত রোববার সকালে সাফিয়া নূরি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের সুগার মিল এলাকার আদর্শ গ্রামে। সোমবার পহেলা বৈশাখের ভোরে জন্ম নেওয়া তাদের ছেলেটি সুস্থ্য ও সবল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। জন্মের পর শিশুটির ওজন হয়েছে ৩ দশমিক ১ কেজি।
নবজাতকের খালা শারমিনা নূরি বলেন, পহেলা বৈশাখের দিনে সন্তান পেয়ে ওর বাবা-মার মতো আমরাও অনেক আনন্দিত। বাচ্চার মা ও তাদের পরিবারের ইচ্ছে শিশুটি বড় হলে একজন নামকরা আলেম হবে। তিনিও মা ও শিশুর জন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ শ র জন ম আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫