র্যাংকিংয়ে বড় লাফ জ্যোতি-শারমিনের
Published: 15th, April 2025 GMT
আইসিসি নারী ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার। আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আসরে দুই ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তাতে র্যাংকিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন তারা।
বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতি র্যাংকিংয়ে ১৭তম স্থানে আছেন। যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান। ৪১তম স্থান থেকে ২৪ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। এছাড়া শারমিনের অবস্থান ২৯তম। ৩৯তম স্থান থেকে ১০ ধাপ এগিয়েছেন এই ব্যাটার। র্যাংকিংয়ে সাপ্তাহিক হালনাগাদ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে আইসিসি।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দুই ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডকে প্রথম ম্যাচে হারানোর নায়ক ছিলেন জ্যোতি। ১০১ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ভর করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পায়। ৭৮ বলে তিন অংকে পৌঁছে গিয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রানের আরেকটি ইনিংস।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান
আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত ক্রিকেট দল
শারমিন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ রানের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ রান করেন। তাতে তার উন্নতি হয়েছে ভালোই। এছাড়া ১৬ ধাপ এগিয়ে রিতু মনি এসেছেন ৮৮তম স্থানে। বোলিংয়ে ফাহিমা খাতুন ৩ ধাপ এগিয়ে ৪৮তম স্থানে এসেছেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌসু সুমনা। তাতেও সেরা একশতে ঢুকতে পারেননি এ স্পিনার। বোলিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা অবস্থান নাহিদা আক্তারের। ২ ধাপ অবনমনের পরও তার অবস্থান ১২তম স্থানে। এরপর ২৩তম স্থানে আছেন রাবেয়া খান। ৭ ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল