সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) গবেষণা শেডে মাস দুয়েক আগে অজানা রোগে মারা গেছে গবেষণার কোয়েল পাখি, মুরগি ও টার্কি। এসব পাখি কোন রোগে মারা গেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। এবার অজানা রোগে পরপর কয়েকটি গবেষণার গরু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে চারটি। এ ছাড়া একটি জবাই করে বিএলআরআইয়ের সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করে খেয়েছেন। তিনটি বিক্রি করে দিয়েছেন। মৃত গরুগুলো গবেষণা শেডের পাশের জঙ্গলে পুঁতে ফেলা হয়। 

গত ২৬ জানুয়ারি পাবনা ক্যাটল জাতের (ট্যাগ নম্বর ৮১২) একটি গাভী মারা যায়। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ না যেতেই ১২ ফেব্রুয়ারি পাবনা ক্যাটল জাতের (ট্যাগ নং ১৪১৭) একটি বাছুর মারা যায়। ১৯ ফেব্রুয়ারি আরেকটি গরু (ট্যাগ নং ১৩৬৩) মারা যায়। একই দিনে পাবনা ক্যাটলের (ট্যাগ নং ১৩৯৫) একটি গরু স্পট নিলাম করা হয়। পরে ১৮ মার্চ অসুস্থতার কারণে পাবনা ক্যাটলের (ট্যাগ নং ৯১৪) একটি গরু স্পট নিলামে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্টরা। ৫ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালে সি এইচ বিফ ব্রিড (ট্যাগ নং ১৩১২) জাতের একটি গাভী মারা যায়। ওই গাভীর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফার্ম সুপারের মৌখিক নির্দেশে কয়েকজন শ্রমিক শেডের পাশের জঙ্গলে মাটি চাপা দেয়। এর দু’দিন পর একটি ষাঁড় গরু (বিসিবি ১৩৩৭ ট্যাগ) নিলামে বিক্রি করা হয়। 

এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সমকালে ‘গবেষণার নামে ভোজনবিলাস’ শিরোনামে উটপাখি-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণী খাওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে সমকালে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ মার্চ বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালককে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সংবাদের বিষয়ে তথ্য দিতে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়। 

গরু মারা যাওয়ার বিষয়ে বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ডা.

শাকিলা ফারুককে মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গরুর মৃত্যুর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিছুই জানে না।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গর

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের সুযোগ আরও চারদিন। সময় বাড়ানোর এ কথা জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছে বাংলাদেশে অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিনের ফেসবুক পেজে। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ এপ্রিল। এখন শিক্ষার্থীরা ৪ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এ বৃত্তি পেলে স্বাস্থ্য, ডেভেলপমেন্ট, পরিবেশ, সাসটেইনেবিলিটি, ট্রেড, পাবলিক পলিসি, অর্থনীতি, গভর্ন্যান্স, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্লু ইকোনমিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়া যাবে দেশটিতে। ২০২৫ সালের জন্য বিশ্বের ৫৫ টি দেশের ১ হাজার ৫৫১ জন অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ পাবেন। ২০২৩-২০২৪ প্রোগ্রামে অষ্ট্রেলিয়া ২৭০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এ বৃত্তির জন্য।

অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশিসহ বিশ্বের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ আগামী ৪ মে, রোববার পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসে সুযোগ-সুবিধা—

সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ

বই ও পড়াশোনার আনুষঙ্গিক জিনিসের খরচ

বিমানে ইকোনমি ক্লাসে যাতায়াতের টিকিট

বসবাসের খরচ ও স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা

কোর্স ভেদে ফিল্ডওয়ার্কের সুযোগ-সুবিধাও আছে।

আরও পড়ুনচীনের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ, প্রথম বছরে ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ান ২০ এপ্রিল ২০২৫

আবেদনের যোগ্যতা—

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারেন

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব যাদের রয়েছে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন না

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকের সঙ্গে বাগদান বা বিবাহিত হলে আবেদন করা যাবে না

কোনো সামরিক সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না

আইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬ দশমিক ৫ হতে হবে এবং প্রতিটি ব্যান্ড স্কোর হতে হবে ৬ অথবা

ইন্টারনেট টেস্টে টোয়েফলে স্কোর কমপক্ষে ৮৪ (আইবিটি) অথবা

পিটিই অ্যাকাডেমিক স্কোর ৫৮।

আবেদনপদ্ধতি—

আবেদনের বিস্তারিত জানা যাবে ‌অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের ওয়েবসাইটে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারেন অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের জন্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ