অজানা রোগে মৃত্যু চার গরুর, নিলামে বিক্রি ৩টি
Published: 16th, April 2025 GMT
সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) গবেষণা শেডে মাস দুয়েক আগে অজানা রোগে মারা গেছে গবেষণার কোয়েল পাখি, মুরগি ও টার্কি। এসব পাখি কোন রোগে মারা গেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। এবার অজানা রোগে পরপর কয়েকটি গবেষণার গরু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে চারটি। এ ছাড়া একটি জবাই করে বিএলআরআইয়ের সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করে খেয়েছেন। তিনটি বিক্রি করে দিয়েছেন। মৃত গরুগুলো গবেষণা শেডের পাশের জঙ্গলে পুঁতে ফেলা হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি পাবনা ক্যাটল জাতের (ট্যাগ নম্বর ৮১২) একটি গাভী মারা যায়। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ না যেতেই ১২ ফেব্রুয়ারি পাবনা ক্যাটল জাতের (ট্যাগ নং ১৪১৭) একটি বাছুর মারা যায়। ১৯ ফেব্রুয়ারি আরেকটি গরু (ট্যাগ নং ১৩৬৩) মারা যায়। একই দিনে পাবনা ক্যাটলের (ট্যাগ নং ১৩৯৫) একটি গরু স্পট নিলাম করা হয়। পরে ১৮ মার্চ অসুস্থতার কারণে পাবনা ক্যাটলের (ট্যাগ নং ৯১৪) একটি গরু স্পট নিলামে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্টরা। ৫ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালে সি এইচ বিফ ব্রিড (ট্যাগ নং ১৩১২) জাতের একটি গাভী মারা যায়। ওই গাভীর ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফার্ম সুপারের মৌখিক নির্দেশে কয়েকজন শ্রমিক শেডের পাশের জঙ্গলে মাটি চাপা দেয়। এর দু’দিন পর একটি ষাঁড় গরু (বিসিবি ১৩৩৭ ট্যাগ) নিলামে বিক্রি করা হয়।
এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সমকালে ‘গবেষণার নামে ভোজনবিলাস’ শিরোনামে উটপাখি-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণী খাওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে সমকালে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ মার্চ বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালককে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সংবাদের বিষয়ে তথ্য দিতে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।
গরু মারা যাওয়ার বিষয়ে বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গর
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী