Prothomalo:
2025-08-01@02:29:07 GMT

বাজারে অস্বস্তি আবার বাড়ছে

Published: 16th, April 2025 GMT

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল। সয়াবিনের বিকল্প পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা। সরকার করছাড় তুলে নেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেমন ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়েছে, তেমনি কয়েক দিনে বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দাম। কিছুটা বেড়েছে আটার দাম। আগে থেকে বাড়তি থাকা চাল-ডালের দাম কমার লক্ষণ নেই। 

সরকার গত রোববার নতুন কারখানা ও অনুমোদিত সীমার (লোড) অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যাসের দামও ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে, যার প্রভাবে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ার আশঙ্কা আছে। উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভে (কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র) ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই গ্যাসের দাম নতুন হারে দিতে হবে। 

করছাড় তুলে নেওয়া, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার এসব ঘটনা এমন একটা সময়ে ঘটছে, যখন সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না। এখনো মূল্যস্ফীতি (মার্চ) ৯ শতাংশের বেশি। 

সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ কর ছাড় দিয়ে পুরোনো দামে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে গতকাল এক পোস্টে বলা হয়েছে, সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। দাম বাড়ানোর পেছনে যত অজুহাতই সরকার দিক না কেন, সেটা অগ্রহণযোগ্য।

ফেসবুক পোস্টটিতে ফায়েজ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, দাম কমান। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেন। এমনিতেই সয়াবিন তেলের দাম মানুষের সাধ্যের বাইরে। 

আরও পড়ুনসয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বেড়ে ১৮৯ টাকা১৮ ঘণ্টা আগেকরছাড় তুলে নেওয়ায় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল। বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দরও। কত দাঁড়াল সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে এক লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা, যা এত দিন ছিল ১৭৫ টাকা। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা; আগে যা ছিল ৮৫২ টাকা। 

অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৯ টাকা। খোলা পাম তেলও ১৫৭ থেকে বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা লিটার করা হয়েছে। অর্থাৎ খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে গতকাল ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সয়াবিন তেল ও পাম তেলের নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর গতকালই এক বিজ্ঞপ্তিতে মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ রোববার থেকেই নতুন দাম কার্যকর বলে গণ্য হবে। 

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেড়েছিল লিটারে ৮ টাকা। এরপরও ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে দাম বাড়ানোর চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সরকার শুল্ক-করে ছাড় দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখে। গত ১৭ অক্টোবর ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের হার (মূসক/ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। নভেম্বরে আরও কমিয়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। 

তেলকল মালিক সমিতি বলছে, ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। ফলে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম হওয়ার কথা ১৯৮ টাকা। তবে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। করছাড় তুলে নেওয়ার কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এত দিন সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। রমজান পর্যন্ত গত কয়েক মাসে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার পরিচালনার ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে এভাবে রাজস্ব ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। 

মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোক্তাপর্যায়ে আজ যে মূল্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম, আমি মনে করছি, এই বাধ্যবাধকতা সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই দাম কমানো সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ভ্যাট অব্যাহতি আরেকটু দীর্ঘায়িত করা যেত কি না, সরকার সেই চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, এ মুহূর্তে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া সরকারের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়। 

আরও পড়ুনসয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যা বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা১৭ ঘণ্টা আগেদাম বাড়ছে আরও পণ্যের

পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কেনা গেছে। তবে তিন দিন ধরে দাম বাড়ছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়। পাবনার পেঁয়াজের দাম আরও বেশি, কেজি ৫৫-৬০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, তিন দিন আগে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) জানিয়েছে, পেঁয়াজের দর ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দাম গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তবে এখন দাম বেড়ে গেছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা কমায় বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০-২৬০ টাকায়। তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির বাদামি এক ডজন ডিম বড় বাজারে ১২০-১২৫ টাকা এবং মহল্লার মুদিদোকানে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহে ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। 

চালের দাম অনেক দিন ধরেই চড়া। নতুন করে দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে টিসিবি জানাচ্ছে, খোলা আটার সর্বনিম্ন দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম আগের মতোই বেশি। নতুন করে হেরফের হয়নি। চিনির দামও আগের মতো রয়েছে, কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। 

বেড়েছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ শেষ। এখন গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা বেশি। নতুন সবজি আসছে। দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৪টি সবজির দামের হিসাব দেয়। গতকালের হিসাবে দেখা যায়, এক মাসে তিনটি সবজির দাম কমেছে—বেগুন, বরবটি ও করলা। তিনটি সবজির আগের দামের হিসাব তারা দেয়নি। একটির দর স্থিতিশীল। সাতটির দাম বেড়েছে—কাঁচা পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, চিচিঙ্গা, দেশি টমেটো, লাউ, চালকুমড়া ও দেশি গাজর। মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ শতাংশ। 

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, সবজি যৌক্তিক মূল্যের অনেক বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। যেমন ঢাকার খুচরা বাজারে কাঁচা পেঁপের যৌক্তিক দর হওয়া উচিত ২৩ টাকা কেজি। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। 

আরও পড়ুনসয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এনসিপির১১ ঘণ্টা আগেরাজস্ব আদায় ও ভর্তুকি কমাতেই ‘প্রাধান্য’ 

সরকার সব সময় আমদানিনির্ভর বিভিন্ন নিত্যপণ্যে শুল্কছাড় দেয়। এর মধ্যে রয়েছে গম, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। আবার কিছু পণ্য আমদানির প্রয়োজন হলে শুল্কছাড় দেওয়া হয়। যেমন চাল। তবে নিয়মিত আমদানি হওয়া ভোজ্যতেল, চিনি, গুঁড়া দুধ, গরম মসলা ও ফলে উচ্চ হারে শুল্ক-কর রয়েছে। উল্লেখ্য, এসবের মধ্যে ভোজ্যতেলে শুল্ক-কর অন্য পণ্যের চেয়ে কম। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, ২০২৪ সালে সয়াবিন ও পাম তেল থেকে আমদানি পর্যায়ে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। চিনি থেকে সরকার বছরে ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে। 

সরকারের রাজস্ব আয়ের মাধ্যম কি নিত্যপণ্য হওয়া উচিত, জানতে চাইলে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার অনুমান, সরকারের কাছে এখন রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। কারণ, আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের পরবর্তী দুটি কিস্তি পেতে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে, ভর্তুকি কমাতে হবে।’ 

এদিকে রাতে এক বিবৃতিতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা বলেছে, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। এ কারণে হঠাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি, শুধু ব্যবসায়ীদের দাবিতে নয়; বরং ভোক্তা সংগঠন ও শ্রমজীবী নাগরিকের মতামত ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণই হবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ন্যায্য।’

আরও পড়ুননতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ, পুরোনো শিল্পে বাড়তি ব্যবহারে নতুন দাম১৩ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট ব যবস য় র করছ ড় ত ল সবজ র দ ম র দ ম কম ভ জ যত ল ব যবহ র সরক র র ১৪ ট ক আমদ ন গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ