ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির ৮ সদস্যের অনাস্থা
Published: 16th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে বিতর্কিতদের পদ দেওয়ার অভিযোগে ৮ সদস্য অনাস্থা প্রস্থাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে এই অনাস্থা প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া।
এই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন নবগঠিত কমিটির ৮ সদস্য। তারা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো.
অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়া কখনো বিএনপি বা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। সে বিগত সময়ে অন্যদলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। আমরা তোয়াকে কখনো দলীয় কর্মকাণ্ডে পাইনি। অথচ তাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ কারণে আমরা কমিটির আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছি।
নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল না করেও পদ পাওয়া যায়, এটা তোয়া প্রমাণ করেছে। অথচ ৫ আগস্টের আগে তাদেরকে কখনো দলে দেখিনি। তোয়া ছাড়াও এই কমিটিতে কৃষকদলের ওয়ার্ডের আহ্বায়ক প্রকৌশলী সবুজকে কোনো যাচাই-বাছাঁই না করেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম ফয়সাল।
তিনি বলেন, এই কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও অবগত। যাচাই-বাঁছাই করে নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক তোয়াকে নিয়ে জাতীয় পার্টির এক নেতার সঙ্গে যে ছবি প্রকাশ হয়েছে সেটা সামাজিক ছবি, দলীয় কর্মকাণ্ডের নয়।
এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়াকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ অন স থ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।