ডিসেম্বরে ভোটের লক্ষ্য নিয়ে অক্টোবরের আগে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি
Published: 16th, April 2025 GMT
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্য ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রাক্–প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো গুছিয়ে জুন–জুলাইয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। আর আগামী অক্টোবরের আগে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি।
আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় আগস্ট–সেপ্টেম্বর বা সম্ভব হলে তার আগে করা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। ইসিও বলে আসছে, সরকারঘোষিত এই সময়সীমা অনুযায়ী ‘আর্লিয়েস্ট টাইম’ বা ডিসেম্বরকে ধরে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একটি নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা ধরে এগোচ্ছে। সে কর্মপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাসের তথ্য, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ করে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া একটি পর্যায়ে আনা হয়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইনের সংশোধনী নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ মাস তিনেকের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে আশা করছে ইসি।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রাক্–প্রস্তুতিমূলক কাজ মোটামুটিভাবে শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আশা করছেন আগামী জুন–জুলাইয়ের দিকে মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা, যেটি নির্বাচনের আগে ইসি প্রকাশ করে, সেটা ছাপা হবে।
ডিসেম্বরকে ঘিরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকারঘোষিত সময়সীমা ঘিরেই তাঁরা এগোচ্ছেন। সেটি হচ্ছে ডিসেম্বর।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। তাঁরা নতুন যেসব দল নিবন্ধন পাবে এবং পুরোনো দল—সবাইকে নিয়ে মতবিনিময় করতে চান। নিবন্ধনের কাজ শেষ করা না হলে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে কষ্ট থাকবে। সেদিক বিবেচনা করে, ইসি সঠিক সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি। সেটা হবে অক্টোবরের আগে, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে হতে পারে বা সম্ভব হলে এর আগে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তাঁরা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় আছে। এখন পর্যন্ত তিনটি দল আবেদন করেছে। নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিদ্যমান যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, তিনি মনে করেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আরও ছয় মাস, আট মাস সময় পাওয়া গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে মনে করে ইসি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক প রস ত ত ড স ম বর দলগ ল র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি