২১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মাসুম গ্রেপ্তার
Published: 16th, April 2025 GMT
ফতুল্লায় কিশোর মুরাদ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মাসুম ওরফে দাদা মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১।
দীর্ঘ ২১ বছর পর নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় কিশোর মুরাদ হত্যা মামলায় মাসুম নামের এক যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো.
নারায়ণগঞ্জর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাসুম ফতুল্লা তল্লা ছোট মজিদ মসজিদ এলাকার আব্দুল আহাদের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নিহত কিশোর মুরাদ একই এলাকার পনির হোসেনের ছেলে।
গত ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: মাসুম’সহ তার সহযোগিরা মিলে মুরাদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় মুরাদের মা সাহারা খাতুন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
আলোচিত হত্যাকান্ডের দীর্ঘ একুশ বছর পর গত (১০ এপ্রিল) এ রায় ঘোষনা করা হয়। রায় ঘোষনার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুম পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ মাসুম (৪৭) পিতা-আব্দুল আহাদ, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা তল্লা ছোট মসজিদ এলাকা থেকে তাকে( ১৫ এপ্রিল)রাত্রে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর এর অভিযানিক দল র্যাব-১১
নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একটি সূত্রে জানাগেছে, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মাসুম ওরফে দাদা মাসুম নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে শহরের তল্লা এলাকার পনিরের ছেলে মুরাদ (১) হত্যা, তল্লা গঞ্জে আলী শাহ্ রোড়ের রহিমের ছেলে মুরাদ (২) হত্যা, নগরখানপুরের রনি হত্যা, তল্লা গঞ্জে আলী শাহ্ রোড়ের হাওয়া বেগম হত্যা এবং নারায়ণগঞ্জের ডনচেম্বারের খোকা ও মেজরকে দাউদকান্দি নিয়ে জোড়া হত্যাসহ বেশ কিছু হত্যা মামলার আসামি। পনিরের ছেলে মুরাদ (১) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। তার কাছে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ অস্ত্র যা দিয়ে তিনি এ সকল অপকর্মগুলো করে বেড়ায়। শুধু তাই নয় তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।
তার অন্যতম সহযোগীরা হলেন- তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার ভাগিনা পারভেজ, বরফকল শীতালক্ষ্যা হাউজিংয়ের তুষার, গঞ্জেআলী শাহ্ রোড় এলাকার বাবু ও তল্লা রেল লাইন এলাকার মুদি দোকানদার টুকুর ছেলে অন্তু। তারা খুন, মাদক, চাঁদাবাজি,ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অসংখ্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে একাধিক বা কারাগারভোগ করেছেন।
মাসুম ওরফে দাদা মাসুম ও তার সহযোগীদের অত্যাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে অতিষ্ঠ ১১নং ওয়ার্ডবাসী। আর সেই খুনসহ ডাকাতি মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার আসামি মাসুকে শেল্ডার দিচ্ছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ এক নেতা।
শুধু তাই নয় মাসুমকে ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এল ক র ক দল র সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
পরবর্তী পোপ নির্বাচন কীভাবে
রোমান ক্যাথলিক চার্চের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বেছে নিতে রক্ষণশীল আর প্রগতিশীল কার্ডিনালদের তৎপরতা বেড়েছে। চলছে বিভিন্ন পর্যায়ের লবিং। প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ক্যাথলিকের নতুন নেতা বেছে নিতে ১৩৫ জন কার্ডিনাল সিস্টিন চ্যাপেলে গোপন বৈঠকে বসবেন। এবারের পোপ নির্বাচনের ফলাফল আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি অনিশ্চিত।
এবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া কার্ডিনালদের বেশির ভাগই আগে কোনো পোপ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাদের ৮০ শতাংশই গত ১২ বছর পোপ ফ্রান্সিসের হাতে নিয়োগ পেয়েছেন। চার্চের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টায় ইরান, আলজেরিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে কার্ডিনাল নিয়োগ দেন পোপ ফ্রান্সিস। ফলে কার্ডিনাল কলেজে ইউরোপ-আমেরিকার একক আধিপত্য কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে ইউরোপীয় কার্ডিনালের হার ছিল ৫০ শতাংশের বেশি, এখন যা নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে। এশিয়া আর লাতিন আমেরিকা থেকেও এখন ১৮ শতাংশ করে প্রতিনিধি আছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের পর এখন রোমান ক্যাথলিক চার্চে চলছে ‘নোভেনদিয়ালি’ নামে ৯ দিনের আনুষ্ঠানিক শোক পালন। ভ্যাটিকানের নিয়ম অনুযায়ী, পোপের মৃত্যুর পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে কনক্লেভ শুরু করতে হয়। সব কার্ডিনাল আগেভাগে পৌঁছে গেলে কনক্লেভ আগেও শুরু করা যায়। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে কনক্লেভ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে ভ্যাটিকানের করিডোর, বাগান আর ডাইনিং রুমে শুরু হয়েছে গোপন আলোচনা আর লবিং।
কনক্লেভ শুরু হওয়ার পর দ্রুত প্রথম ভোট হবে। প্রতিদিন সকাল আর বিকেলে ভোট হবে, যতক্ষণ না কোনো প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে জিতে যান। ১৩০০ শতকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ কনক্লেভ চলেছিল ২ বছর ৯ মাস। দ্য গার্ডিয়ান।