তিন ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট বাংলাদেশের। তাদের সমান পয়েন্ট স্বাগতিক পাকিস্তান নারী দলের। শ্রেয়তর রান রেটের কারণে টেবিলের এক নম্বরে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সবার আগে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ বাংলাদেশের। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাহোরে আজ উইন্ডিজকে হারালে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট কাটবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল সাড়ে ১০টায়।
ছয় দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রতিটি দল খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। এখান থেকে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল খেলবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠেয় নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে। বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলেছে তিন ম্যাচ। থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডকে হারানো বাংলাদেশ নারী দলের জন্য মূল পর্বে ওঠার বড় সুযোগ আজ উইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচে।
তিন ম্যাচে ক্যারিবীয় মেয়েদের পয়েন্ট মাত্র ২। স্বাগতিক পাকিস্তান এবং স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেছে উইন্ডিজ। একমাত্র জয়টি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আজ জিতলে মূল পর্ব যেমন নিশ্চিত, তেমনি করে হারলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে অথবা কম ব্যবধানে হারতে হবে। এই সব অঙ্কে না গিয়ে আত্মবিশ্বাসী জ্যোতিরা ক্যারিবীয় মেয়েদের হারিয়ে বৃহস্পতিবারই বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট কাটতে চান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।