ওষুধ সেবনে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ইংলিশ ক্রিকেটার
Published: 17th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখাতে না পারলেও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ বাঁ-হাতি পেসার কেইথ বার্কার। এবার নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের দায়ে বড় শাস্তির মুখে পড়লেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে বার্কারের শরীরে নিষিদ্ধ দ্রব্য শনাক্ত হয়। তারও আগে, মে মাসে এক ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। এরপর ৫ মার্চ ইসিবির অ্যান্টি-ডোপিং নীতিমালার দুটি ধারা ভাঙার কথা স্বীকার করেন এই পেসার। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের ৪ জুলাই থেকে।
যদিও বার্কারের দাবি, তিনি উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় একটি বিকল্প ওষুধ নিয়েছিলেন, যা বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত। বিষয়টিকে ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট রিভিউ প্যানেল। তারা আরও জানায়, বার্কার ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ম ভাঙেননি এবং পারফরম্যান্সে বিশেষ কোনো সুবিধাও পাননি।
তবে নিয়ম তো নিয়মই। তাই ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধই হতে হচ্ছে হ্যাম্পশায়ারের ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ২৪.
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বার্কার। বলেন, 'গত নয় মাস ছিল ভীষণ কঠিন। শুনানি চলাকালীন সময়টা যেন কঠিনতম শাস্তির মতোই কেটেছে। আজকের রায় আমার পুরো ক্যারিয়ার শেষ করে দিচ্ছে। আমি কৈশোর থেকে যে খেলাটিকে ভালোবেসে এসেছি, সেখান থেকে কিছু প্রশাসনিক ভুল আমাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আমার পাশে থাকার জন্য হ্যাম্পশায়ার পরিবার ও সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।'
তার অনুপস্থিতি নিয়ে হতাশ হ্যাম্পশায়ার ক্লাবও। ক্লাবের পরিচালক গাইলস হোয়াইট বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুলের ফল। কেইথ বরাবরই ব্যতিক্রমী ক্রিকেটার। জুলাইয়ের পর থেকে তাকে আবার দলে দেখতে চায় সবাই। গত ছয় বছরে সে ভক্তদেরও প্রিয় হয়ে উঠেছে।'
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।