ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ।

বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, বিমান যোগাযোগসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দেনা-পাওনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।  

বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরের সূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকের বিষয়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করবেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন।  

সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বন্ধুত্বপূর্ণ ও কার্যকর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে নতুন করে উদ্যোগ নিচ্ছে পাকিস্তান। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশই আগ্রহী। এক্ষেত্রে প্রায় ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের অন্যরকম গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। সন্ধ্যায় বারিধারায় তার সম্মানে এক বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।

২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এর দীর্ঘ ১৫ বছর পর  পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আবার শুরু হলো।  

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ