জনৈক কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে
Published: 17th, April 2025 GMT
মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা (আসামি) জনৈক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন।
পুলিশের নথিপত্রের তথ্য অনুসারে, চাঁদাবাজি-প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে মেঘনা, সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে। মামলার বাদী ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।
মামলায় মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আজ বৃহস্পতিবার মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সকালে এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় তাঁকে ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
আরও পড়ুনএবার চাঁদাবাজি–প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো১ ঘণ্টা আগেধানমন্ডি থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। বৈঠকে জনৈক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।
৯ এপ্রিল রাতে মেঘনাকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে আদালত মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তাঁর বাবা বদরুল আলম গত রোববার রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
আরও পড়ুনমেঘনা আলম যে প্রক্রিয়ায় আটক, তা সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল১৩ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান কারা
এক দিন পরই শুরু শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এই সিরিজে তিন সংস্করণেই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রাসঙ্গিকভাবেই তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান কারা, সেটি দেখে নেওয়া যেতে পারে। দেখা যাক পরিসংখ্যান কী বলছে—
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন সংস্করণেই দারুণ সফল মুশফিকুর রহিম। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—সব জায়গায়ই শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। গড়টাও বেশ ভালো।
টেস্টে ৩০ ইনিংসে মুশফিকের রান ১৩৪৬। গড় ৫৩.৮৪। সর্বোচ্চ ২০০। সেঞ্চুরি তিনটি, ফিফটি সাতটি। দ্বিতীয় স্থানে মোহাম্মদ আশরাফুল—১০৯০ রান, গড় ৪৫.৪১। মুমিনুল (১০৭০), তামিম (৯১৭) ও সাকিব (৬৬২) আছেন এরপরই। তাঁদের মধ্যে মুমিনুলের গড়টাও ৫০.৯৫।
প্রথম আলো