ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে হার দেখেছে শিরোপার অন্যতম দাবিদ্বার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই হারে দুইয়ে থেকে সুপার লিগে আসা মোহামেডানের হারে শিরোপার রেসে পিছিয়ে যায় মোহামেডান।

তানভীর ইসলামের ঘূর্ণি জাদু আর সাইফ হাসান-সৌম্য সরকারের ব্যাটে ভর করে বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৯.

১ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৭ রান করে মোহামেডান। বৃষ্টির বাধায় সাদাকালো ক্লাবটি আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি। চার ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে বৃষ্টি আইনে রূপগঞ্জের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ৯৩ রান। 

আরো পড়ুন:

‘রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব’

হ্যাটট্রিক জয়ে বিশ্বকাপের আরো কাছে বাংলাদেশ

১৩.১ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান। সাইফ হাসান ৪৪ বলে ৫৫ ও সৌম্য সরকার ৩৩ বলে ৩৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম। এরপর আর উইকেট ফেলতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে উইকেটের মিছিলে শুরু থেকে ধুঁকতে থাকে মোহামেডান। ১০০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন আনিসুল ইসলাম। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। তিনিও দায়িত্ব নিতে পারেননি।

রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তানভীর। ২ উইকেট নেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট করে নেন শরিফুল ইসলাম-টিপু সুলতান। 

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ