ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর বিশ্বকাপে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে হিসাব
Published: 17th, April 2025 GMT
টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার পর এ বছরের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে হতে যাওয়া মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে নিগারদের সামনে এখন কী হিসাব—এই প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে।
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় চোখ বোলাতে হবে সবার আগে। ছয় দলের বাছাইপর্বে প্রতিটি দলের পাঁচটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ চার ম্যাচ খেলে তিন জয়ে পেয়েছে ৬ পয়েন্ট। পাকিস্তান আজ খেলছে এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট না পাওয়া থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান তাদের ইনিংসে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তুলেছে ২০৫ রান।
ধরে নেওয়া যাক, এ ম্যাচ পাকিস্তান জিতবে। সেই অনুযায়ী হিসাব করলে টানা চার জয়ে ৮ পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তান বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে এক ম্যাচ হাতে রেখেই। ছয় দলের মধ্যে যেহেতু বিশ্বকাপের টিকিট পাবে দুটি দল, তাই বিশ্বকাপে যেতে হলে বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে স্কটল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। প্রতিযোগিতার আরেক দল আয়ারল্যান্ড চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াই থেকে এরই মধ্যে ছিটকে গেছে।
স্কটল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দুই দলের পয়েন্টই চার ম্যাচ শেষে ৪ করে। ৬ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের চেয়ে নেট রান রেটেও পিছিয়ে তারা। বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আগামী পরশু সেই ম্যাচ জিতলে কোনো হিসাব ছাড়াই বিশ্বকাপের টিকিট পাবে বাংলাদেশ। হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে নিগার সুলতানাদের।
আরও পড়ুননিগারদের বিশ্বকাপ–অপেক্ষা বাড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের কাছে হারলে সেই হার যদি খুব বড় না হয়, তাহলে নেট রান রেট ধনাত্মকই (+) থাকবে বাংলাদেশের। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নেট রান রেট +১.
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে থাকা আরেক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী পরশুর সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতবে বলে যদি ধরে নেওয়া হয়, তাহলেও বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে দলটিকে জিততে হবে বড় ব্যবধানে। কারণ, এই মুহূর্তে নেট রান রেটে সবচেয়ে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজই (–০.২৮৩)।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র ট ক ট প স কটল য ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস