প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে ২৫৫ পদে নিয়োগ, আবেদন শেষ কাল
Published: 19th, April 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগে আবেদন চলছে। এই অধিদপ্তরে ১৩ ক্যাটাগরির পদে ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডে ২৫৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: সহকারী পরিচালক
পদসংখ্যা: ২৬
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
২.
পদের নাম: টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ার
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
আরও পড়ুনআইনজীবী তালিকাভুক্তিকরণ পরীক্ষা, প্রস্তুতিতে যা যা করতে পারেন১৮ এপ্রিল ২০২৫৩. পদের নাম: ফিল্ড অফিসার
পদসংখ্যা: ১৭
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে ৩০-৩২ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)
৪. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপির গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৮০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৩০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
আরও পড়ুনআউটসোর্সিং-কর্মীদের কোন এলাকায় কত বেতন, জানাল অর্থ মন্ত্রণালয়১৭ এপ্রিল ২০২৫৫. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপির গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৭০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৩০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৬. পদের নাম: ওয়্যারলেস অপারেটর
পদসংখ্যা: ২০
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। বৈদ্যুতিক ও বেতার যন্ত্রপাতি এবং বেতারযন্ত্রে যোগাযোগের নিয়মাবলি সম্বন্ধে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। মোর্স টেলিগ্রাফিতে প্রতি মিনিটে ২০টি শব্দ গ্রহণ ও প্রেরণের সক্ষমতা এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। তবে টেলিযোগাযোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী বা পুলিশের সাবেক সদস্যদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স শিথিলযোগ্য।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
৭. পদের নাম: অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম মুসলিম দেশ-মঙ্গল শোভাযাত্রা-রেডিও বেগম জেনে নিন বিস্তারিত১৭ এপ্রিল ২০২৫৮. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ২০
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটার ওয়ার্ড প্রসেসিং, ই-মেইল, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি চালনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৯. পদের নাম: গাড়িচালক
পদসংখ্যা: ১৩
যোগ্যতা: জেএসসি বা সমমান পাস। গ্রেড ১৬-এর ক্ষেত্রে হালকা গাড়ি চালনার বৈধ হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১০. পদের নাম: রিসিপশনিস্ট
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিস ইউনিকোড ও বেসিক ডেটাবেজ পরিচালনায় প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতা পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি; নারীদের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
ছবি: প্রথম আলো/এআই জেনারেটেডউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন র স জ প অন য ন ৫ ফ ট সমম ন প স পদ র ন ম গ র ড ১৬ য গ যত
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা বাগেরহাটের ছাত্র সামিউল ইসলাম এখন চরম অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন। হামলায় গুরুতর আহত হওয়ায় তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি, ঠিকভাবে বসতেও পারেন না সামিউল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাগেরহাট কোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার শিকার হন সামিউল ইসলাম। এতে তার হাতের পেশি কেটে যায় এবং মাথা ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি।
এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা সামিউল ইসলামের। ২৬ জুন শুরু হতে যাওয়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দাবি জানিয়েছেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, সেরকম ব্যবস্থা করা হোক সামিউলের জন্যও।
সামিউলের প্রতিবেশী শামসুদ্দোহা বলেছেন, “সামিউল হামলায় আহত হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছে। সরকারিভাবে যেভাবে অসুস্থদের সহায়তা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেভাবে তাকেও সুযোগ দেওয়া হোক।”
সামিউলের বাবা আইয়ুব আলী শেখ বলেছেন, “আমার একমাত্র ছেলে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। এখনো তার পিঠ ও হাতে ব্যথা আছে। অনেক খরচ করে চিকিৎসা করালেও উন্নতি হয়নি। সরকার যেন উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়।”
সামিউলের মা রুবিয়া বেগম বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলায় ওর যা অবস্থা হয়েছে, তা বলার মতো না। আমরা ওকে ভয়ে কোথাও নিতে পারিনি। এখন সে কিছুই করতে পারে না। পরীক্ষা দিতে পারলে হয়ত ভবিষ্যতের একটা রাস্তায় পৌঁছাতে পারত।”
সামিউল ইসলাম বলেছেন, “আমি এখনো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। খেতেও কষ্ট হয়। লেখালেখি করতে পারি না। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এখনো সুস্থ না হওয়ায় সব অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমি চাই, সরকার যেন আমাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয় এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।”
আন্দোলনের সহযোদ্ধা মো. রেজুয়ান শেখ বলেন, “ছাত্রলীগ রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে সামিউলের ওপর হামলা চালায়। সে এখন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম শেখ বলেছেন, “সামিউলের চিকিৎসা এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সে আমাদের আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তার বর্তমান অবস্থা আমাদের ব্যথিত করে।”
রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেছেন, “সামিউল মেধাবী শিক্ষার্থী। সরকার যদি তাকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে সে ভালো ফল করতে পারবে।”
ঢাকা/শহিদুল/রফিক